শাহজাদপুরে মৃত্যুর ১মাস পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হলো সাবেক কাষ্টমস কর্মকর্তা হাজী মোশারফ হোসেন (৮০) এর লাশ। চাকরীর সুবাধে হাজী মোশাররফ হোসেন পরিবার নিয়ে খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা উপজেলার ছোট বয়ড়া পুজাখোলা গ্রামে থাকতেন। তিনি শাহজাদপুর পৌর শহরের দরগাহপাড়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। ঘটানার বিবরণে জানা যায়, গত ৩০ জুন সকাল ৬টায় সাবেক কাষ্টমস কর্মকর্তা হাজী মোশাররফ হোসেনকে খুলনার বাড়িতে মৃত অবস্থায় বিছানাতে পায় তার স্ত্রী হাজী নুরুন্নাহার ।পরিবারের সদস্যরা স্বাভাবিক মৃত্যু ভেবে ৮০ বছরের বৃদ্ধের লাশ জন্মভূমি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে দাফন করে স্বজনরা। মৃত্যুর কিছুদিন পর গত ৬ জুলাই প্রতিবেশীর সিসি ক্যামেরায় ধরা পরে বাড়ির ভেতরে প্রতিবেশী এক চোরের তৎপরতা। চোরের নাম শেখ হাসান (২২), সে একই গ্রামের মোঃ হান্নান শেখ এর ছেলে।গত ৯ জুলাই মৃত মোশাররফ হোসেনের পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী চোরকে ধরে পুলিশে দেয় । পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চঞ্চল্যকর তথ্য। চোর হাসান পুলিশের কাছেস্বীকার করে যে চুরি করতে ঢুকলে বৃদ্ধ মোশাররফ হোসেন দেখে ফেলে। তখনই মোশাররফ হোসেনকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে হাসান। সেই দিনই মৃত মোশাররফ হোসেনের মেয়ের জামাই রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে শাহ মখদুম কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খাঁনের উপস্থিতিতে সকাল ১১টায় কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সোবাহান, এসআই শাহজাহান সহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সোবাহান জানান, লাশ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।