গোটা দেশ এখন ডেঙ্গু ঝুঁকিতে। ঘরে ঘরে ডেঙ্গু। ইতোমধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। গত ১৮ বছরের মধ্যে এ বছর বুধবার (৩১ জুলাই) পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৭ হাজার ১৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪৭৭ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে আরো ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৪ জন মারা গেছেন। তবে বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা হবে ৩১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা গেছে, ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন জেলার হাসপাতালগুলোতে এক হাজার ২২৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৮৪৭ জন রোগী ঢাকার বাইরের এসব হাসপাতালে ভর্তি ছিল।
এবার বর্ষার শুরুতেই ঢাকায় মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব ঘটে, এখন বিভিন্ন জেলা থেকে আক্রান্তের খবর আসছে।
দেশের ৬৩টি জেলায় ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যেখানে আগের দিনও ৫০ জেলায় ডেঙ্গু রোগীর তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছিল তারা। এখন পর্যন্ত নেত্রকোণা জেলায় কোনো আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।
ডেঙ্গু নিয়ে নতুন করে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৫৫ জন ভর্তি হয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, সবমিলিয়ে বর্তমানে এখানে চিকিৎসাধীন আছেন ৬৫২ জন ডেঙ্গু রোগী।
এরপর মিটফোর্ড হাসপাতালে ৯৮, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১৩৫, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ২৮১, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ২৪২, বারডেম হাসপাতালে ৪৪, বিএসএমএমইউতে ১১২, পুলিশ হাসপাতালে ১৪৮, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৩১, বিজিবি হাসপাতালে ২৩, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৯২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে সর্বমোট ৩ হাজার ৬৭৬ জন ভর্তি আছেন, এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালগুলোয় রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪১৮ জন।
রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব জেলার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ১১২ জন, তাদের নিয়ে মোট চিকিৎসাধীন আছেন ২০৫ জন।