মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যার আসামি গ্রেফতারের দাবিতে গত বুধবার বিকেলে মাহবুব আহমেদ মঞ্চের জনসভা থেকে ডাকা ঈশ্বরদীতে অর্ধদিবস হরতাল সোমবার শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। হরতাল চলাকালে দোকান পাট,বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীসহ মানুষকে পায়ে হেঁটে চলতে হয়।
অর্ধদিবস হরতাল চলাকালে ঈশ্বরদীর ‘‘জিরো পয়েন্ট রেলওয়ে গেটে’’ অনুষ্ঠিত হয় পথসভা। এতে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে আওয়ামীলীগ নেতা ইসাহক আলী, হাবিবুল ইসলাম,সাইফুজ্জামান পিন্টু,জাসদ নেতা আব্দুল খালেক,জাহাঙ্গীর হোসেন,মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফান্টু,রফিকুল ইসলাম ও সাংবাদিক স্বপন কুমার কুন্ডু বক্তব্য দেন।বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, নির্মানাধীন রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জমি অধি গ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত ২৮ কোটি টাকা নামে-বেনামে লোপাটে বাধা দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা আরও বলেন,মাস্তাফিজুর রহমান তার জীবন দিয়ে হলেও অবৈধভাবে কৃষকের টাকা লোপাট করতে দেওয়া হবেনা বলে ঘোষণা দেওয়ার পর গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত নয়টায় রুপপুরস্থ নিজ বাড়ির গেটে মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিমকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। অনাকঙ্খিত এ হত্যাকান্ডের পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঈশ্বরদী ও পাকশীর পক্ষ থেকে একাধিকবার দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড়,ঈশ্বরদী বাজার রোড ও রুপপুর পাকার মোড়ে মহাসড়ক অবরোধ করে সর্বকালের সর্ববৃহৎ মানববন্ধন-সমাবেশ করা হয় প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে ।
একাধিকস্থানে প্রতিবাদ সভাও করা হয়। এমনকি একই দাবিতে ঢাকা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনেও আসামি গ্রেফতার ও হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচার দাবিতে প্রধান মন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। এসব কর্মসুচিতে মুক্তিযোদ্ধা,আওয়ামীলীগ নেতা,জাসদ নেতাসহ বক্তারা প্রকৃত হত্যাকারীর নাম উল্লেখ করে গ্রেফতারের জোর দাবি জানান । এর পরও প্রকৃত আসামি গ্রেফতার হয়নি।