ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মায়ের বকুনি খেয়ে ক্ষোভে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে পঞ্চম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী রুপা খাতুন (১১)। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। রুপা উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামের ইদ্রিস আলীর মেয়ে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রুপার বাবা ইদ্রিস আলী একজন অটো রিক্সা চালক। তিন মেয়ে আর স্বামী-স্ত্রী মিলে ৫ জনের সংসার তার। স্বল্প আয়ে তার সংসারে প্রতিনিয়ত অভাব-অনটন লেগেই থাকত। এ নিয়ে প্রায়ই পরিবারের সবার সাথে ইদ্রিস আলীর বাকবিতন্ডা হয়। অভাবের কারণে এই হতদরিদ্র পিতা-মাতা কোন সময়ই হাই স্কুল পড়ুয়া দুই মেয়ে ও প্রাইমারি স্কুল পড়ুয়া রুপার প্রয়োজন মেটাতে পারত না। এ কারণে মায়ের সাথে তিন মেয়ের প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হতো। এক পর্যায়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় রুপাকে পড়তে বসার কথা বলে তার মা। কিন্তু গাইড বই না কিনে দেয়ায় মায়ের সাথে ঝগড়া হয় রুপার। এসময় মরগা মরগা বলে রুপাকে গালি দেয় তার মা। এতে ক্ষোভে-দুঃখে রাত ৯ টার দিকে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস নেয় রুপা। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত দেড়টার দিকে সে মারা যায়। শনিবার মরদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পাথরঘাটা গ্রামের ইউপি সদস্য জিয়াউল হক জানান, অভাব-অনটনের সংসারে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি বিরাজ করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার মায়ের সাথে রুপার ঝগড়া হয়। এতে অভিমান করে রুপা গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।