নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ও দোষীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়রা। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার রাজাপুর বাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নির্যাতিত বাবুল আক্তারের বড় ভাই গোলাম মোস্তফা, এলাকাবাসী মোবারক হোসেন ও শাহীন আলম বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বলেন, গত ১৯ জুলাই উপজেলার আস্তিকপাড়ার বাসিন্দা কমিউনিটি পুলিশ বাবলু আক্তারের চার বছরের ছেলে হারেজের প্রতিবেশী জয়নালের ছেলে বোরহানের খেলাধুলার এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে স্থানীয়রা এসে তাদের নিজ নিজ বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। পরে ২২ জুলাই জয়নাল গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের আব্দুস সালাম খানের কাছে গিয়ে বিচার দাবি করে। পরে চেয়ারম্যান মিমাংসা করতে অপারগতা প্রকাশ করে তাকে থানায় পাঠালে জয়নাল বিষয়টি মৌখিকভাবে পুলিশকে জানায়। ঐদিনই বড়াইগ্রাম থানার এসআই আশরাফ আলী মিমাংসার কথা বলে ভুক্তভোগী বাবলুকে থানায় ডেকে নিয়ে মিমাংসার কথা বলে তার কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় বাবলুর ছেলেকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন ওই এসআই। দাবিকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে এসআই আশরাফ আলী তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে স্বজনরা গিয়ে বাবলুকে আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনায় নির্যাতিত বাবলুর বড়ভাই মোস্তফা পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন। অবিলম্বে দোষী এসআইয়ের বিচার দাবী করেন বক্তারা।
সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক শহীদুল হক সুমন জানান, পেটানোর আঘাত নিয়ে গত ২৪ জুলাই বাবলু আক্তার হাসপাতালে ভর্তি হন। তাকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত এসআই আশরাফ জানান, আমার প্রতি বাবলু আক্তারের স্বজনরা মিথ্যা অভিযোগ করেছে। বিবাদমান দুই পক্ষকে থানায় ডেকে বিষয়টি মিমাংসা করতে চেয়েছিলাম। বাবলুকে মারধরের অভিযোগ সঠিক নয়।