ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ঈশ্বরদীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান হত্যাকান্ডে জড়িত আসামী গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবীতে আগামী ২৯ জুলাই সোমবার ঈশ্বরদীতে অর্ধ দিবস হরতালের ডাক দেয়া হয়েছে। বুধবার বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা-জনতা আহুত ঈশ্বরদী পুরাতন বাস টার্মিনালে অনুষ্ঠিত জনসভা হতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সেলিম হত্যাকান্ডের বিচারের দাবীতে গঠিত ‘মুক্তিযোদ্ধা-জনতা’ ষ্টিয়ারিং কমিটির আহব্বায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নায়েব আলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিরাট জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফান্টুর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্য পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস, উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান বিশ্বাস, পৌর মেয়র আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ মিন্টু , স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লিটন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গোলাম মোস্তাফা চান্না, ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার আব্দুল খালেক, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসাহক আলী মালিথা, প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু, সিপিবি’র জেলা সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, জাসদ নেতা জাহাঙ্গির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলী, আওয়াম লীগ নেতা তুতুল বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. সাইফুল ইসলাম বাবলু, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা সেলিমের বোন নাজনীন মাহমুদ ঝরা, কৃষক নেতা মুরাদ মালিথা, পাকশীর আওয়ামী লীগ নেতা জহুরুল মালিথা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের আহব্বায়ক আব্দুর রহমান মিলন, আওয়ামী লীগ নেতা আক্তার হোসেন প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, সেলিম হত্যাকান্ডের ছয় মাস অতিবাহিত হলেও আজবধি প্রকৃত আসামী ও হুকুম দাতা গ্রেফতার হয়নি। বিচারের জন্য এখনো ফাইনাল রিপোর্ট প্রস্তুত হয়নি। অবিলম্বে প্রকৃত আসামী গ্রেফতার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো না হলে পর্যায়ক্রমে ঈশ্বরদীতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলে ঈশ্বরদী অচল করে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক নয়টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকশীর আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে প্রবেশের সময় আঁততায়িদের গুলিতে আহত হয়ে ঈশ^রদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান।