আমাদের সমাজে মিথ্যা ও তুচ্ছ ঘঠনায় মামলা দায়েরের মাধ্যমে নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করার ঘটনা নেহাত কম নয়। নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে প্রতিপক্ষকে প্রায়ই সামাজিক এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার ঘটনা ঘটাতে দেখা যায়। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করেও এ ধরনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। যেমন যৌতুক, ভরণপোষণ, খোরপোশ, তালাক প্রভৃতি বিষয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক সংসারজীবন বিপন্ন করে তোলা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ক্ষেত্রে অধিকাংশ মামলাই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক উদ্দেশ্যে দায়ের করার ঘটনা ঘটে। ফৌজদারি কার্যবিধি মোতাবেক মিথ্যা অভিযোগের শাস্তির বিধানও রয়েছে। তবুও সমাজে মিথ্যা মামলা কিংবা অহেতুক হয়রানীর মত ঘঠনা ঘঠছে। যতাযত প্রতিকার পাচ্ছেনা ভুক্তভোগী জনগণ। স্বামীর সংসারে বসবাস করেও স্বামীর উপর ক্ষুদ্র হয়ে প্রকৃত ঠিকানা গোপন করে আদালতে যৌতুকের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন এক গৃহবধু। ঘটনাটি ঘঠেছে জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নে শুকনাছড়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় হাতির মাহুত রফিক মিয়ার সাথে। জানা যায়- রফিক মিয়া একাধিক বিয়ে করেছেন। তার তৃতীয় স্ত্রী একই গ্রামের মবশি^র আলীর কন্যা রাছনা বেগম (৩৩)। রয়েছে তার ২ কন্যা সন্তান। রাছনা বেগম তার স্বামীকে শিক্ষা দিতে স্বামীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা গোপন করে ভিন্ন ঠিকানা উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নে সাগরনাল গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটিতে নালিশা পিটিশন দেন। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি থেকে বিষয়টি আপোষ মীমাংসা করার জন্য বারবার সমন পাঠানো হলেও বিবাদী কোন সমন নোটিশ পাননি। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি থেকে পাঠানো সমন নোটিশ সাগরনাল ইউপির ঠিকানায় গেলে কে বা কারা স্বাক্ষর করে রেখেছে তাও জানেন না রফিক মিয়া। পরবর্তীতে জানতে পারেন ওই মহিলা আদালতে মামলা করেছেন। সাগরনাল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য জুনেদ মিয়া জানান- আদালতের সমনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে রাছনা বেগম নামের এক মহিলা একদিন এসে তার নিকট রফিকের স্ত্রী দাবী করে বিচার প্রার্থী হওয়ায় তিনি রফিকের বাবার বাড়ীর লোকজনের নিকট খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রফিক বেশ কয়েক বছর থেকে এখানে থাকেন না। তখন তিনি বিষয়টি ওই মহিলাকে জানিয়ে দেন বলে জানান। ৮নং গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন আহমদ লেমন বলেন- রফিকের স্ত্রী রাছনা বেগমকে কয়েকবার তলব করেছি। এমনকি তার পিতাকেও কয়েকবার বলা হয়েছে কিন্তু রাছনা বা তার পরিবার আসেন নি। রফিক তার সন্তাদের বরণ পোষন চালিয়ে যাচ্ছে। এখন মামলা হলো কেন তা আমার জানা নেই। রাছনা বেগম এর স্বামী রফিক মিয়া স্থানীয় প্রশাসনসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করে বলেন- আমার স্ত্রী রাছনা দায়েরী মিথ্যা মামলায় জর্জরিত। একটি দুষ্টচক্রের সাথে হাত মিলিয়ে আমার বিরোদ্ধে ষড়যন্ত করে গোপনে এ মামলা দায়ের করেছে। শশুর মোঃ মবশ্বির আলীর কাছ থেকে জমি বন্দক নিয়ে ওই জমিতে ফসল ফলিয়ে আমার স্ত্রী সন্তানদের ভরণপোষন চালিয়ে আসছি। আমি ঐ জমির সরকারি খাজনা পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু, জমির ফসল ভোগ করছে স্ত্রী।