শখ করে গরুর নাম রেখেছিলেন ‘বাহাদুর’। এখন বাড়ির সবাই গরুটিকে এই নামেই ডাকে। এদিকে কোরবানি ঈদের আগ মুহূর্তে বাহাদুর নাম ছড়িয়ে গেছে গ্রাম ছাড়িয়ে সুজানগর উপজেলা, সুজানগর সহ আশেপাশের উপজেলায়। প্রায় প্রতিদিনই বাহাদুর কে দেখতে সুজানগরের পৌর এলাকার ভবানীপুর (প্রফেসর পাড়া) ক্ষদ্র গরু ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন মোল্লার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন শত শত মানুষ। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে এবার বাজারে তোলা হবে বাহাদুর কে। মালিক আনোয়ার হোসেন মোল্লা এই গারুর দাম চেয়েছেন ১১ লাখ টাকা। সাথে ঘোষণা দিয়েছেন, এই দামে বেচতে পারলে ক্রেতাকে দেওয়া হবে বিশেষ পুরুস্কার। এদিকে ১১ লাখ টাকা দামের বাহাদুর কে দেখতে আসা উৎসুক জনতার ভিড় বাড়ছে প্রতিদিনই। বাহাদুর কে দেখতে আসা মানুষদের চোখে-মুখেও ফুটে উঠছে বিস্ময়। এমনই একজন পৌর এলাকার রফিকুল ইসলাম তুষার তিনি বলেন, লোকমুখে ১১ লাখ টাকার গরুর কথা শুনে দেখতে এসেছি।
এতবড় গরুর জীবনে প্রথম দেখলাম। পাবনা সদর উপজেলার তারাবাড়ীয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বলেন, পাঁচ বছর আগে দুই লাখ টাকার একটা ষাঁড় দেখেছিলাম। ১১ লাখ টাকা গরুর দাম! এমন কথা শুনেই দেখতে এলাম। এমন গরুর আসলেও কখনো দেখিনি। বাহাদুর কে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন দেলোয়ার হোসেন তিনি আরো বলেন, মানুষ দাম দেখবে না, চেহারা দেখে এই গরুর কিনবে। গরুর মালিক আনোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, নিজ খামারের প্রায় ২ বছর ৭ মাস আগে ‘ফিজিয়াম’ (অস্ট্রোলিয়া) জাতের এই গরুটা খামারে জন্ম নেয়। শখ করে বড় করে ওর নাম দিয়েছিলাম ‘বাহাদুর’।
গরুটির প্রায় দৈর্ঘ ৮ ফুট ও উচ্চতা ৬ ফুট গায়ে প্রায় ২২ মণ মাংশ আছে উল্লেখ করে আনোয়ার বলেন, গরুর দাম চাচ্ছি ১১ লাখ টাকা। এই দামে গরু বিক্রি করতে পারলে ক্রেতাকে খুশি হয়ে বিশেষ উপহার দেব। তিনি বলেন, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের কোন পরামর্শ ছাড়াই গরুটা আমি পুষেছি। ছয় কাঠা জমিতে ঘাস লাগানো আছে। সেই ঘাস আর খইল ও ভুষি খাওয়াইয়ে গরু এত বড় করেছি। এ ব্যাপারে সুজানগর উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জেন ডাঃ মোঃ আব্দুল লতিফ কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, পৌর শহরের ভবানীপুর এলাকায় একটা বড় গরু আছে শুনেছি। কিন্তু আমি সেই গরু দেখিনি, গরুটি দেখতে যাবো ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে সহযোগীতা করবো।