মামলার বিবরনে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই উপজেলার থানাপাড়া গ্রামের মো. ওয়াসিম আলীর মেয়ে অধ্যক্ষ মফিজ উদ্দিন প্রি-ক্যাডেট স্কুলের নার্সারী শ্রেনীর শিক্ষার্থী স্কুল থেকে বাড়িতে আসতে একই গ্রামের মৃত-আলীম উদ্দিনের ছেলে লম্পট ওমর আলী (৫৫) এর মুদিখানা দোকানে খাতা কেনার জন্য যায়। এই সুযোগে ওমর আলী বিভিন্ন ধরনের খাতা দেখানোর কথা বলে তাকে দোকানের ভিতরে ডেনে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এসময় লম্পট ওমর আলী মেয়েটিকে ধর্ষণের অপচেষ্টা চালায়। পথচারী আসাদ নামক এক ক্রেতা এসে বিষয়টি দেখে শিশুটিকে উদ্ধার করে। ঘটনায় মেয়ের বাবা আটঘরিয়া থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেনীর ছাত্র ইমন ও মীম জানান, এই অপরাধীর কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার। লম্পট ওমর আলী এর আগেও একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা সবাই তার সর্বোচ্চ বিচার ফাঁসির দাবী জানাই।
অধ্যক্ষ মফিজ উদ্দিন প্রি- ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। সে আমার স্কুলের নার্সারী শ্রেনীর একজন ভাল ছাত্রী। শুনার পর তার অভিভাবককে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ফাঁসির দাবি করছি।
শিখিক্ষা সেলিনা খাতুন ও হালিমা খাতুন জানান, এটা একটা জঘন্যতম অপরাধ এর কঠোর শাস্তি পাওয়া দরকার বলে মনে করছেন তারা। ওই এলাকার কাউন্সিলর নিরোদ কর্মকর্তা নিরু জানান, বিষয়টি একটা ন্যাক্কার জনক ঘটনা। সে মাঝে মধ্যেই এধরনের ঘটনা ঘটায়। আমি এর সঠিক বিচার দাবি করছি।
এলাকাবাসি সূত্রে জানান, ধর্ষক ওমর আলী দীর্ঘ দিন ধরে এই ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত। সে এর আগেও ঐগ্রামে অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। এই অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছে এলাকাবাসী।