সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শহরের দোয়েল সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে শহরের বিভিন্নস্থানে বিলবোর্ড স্থাপন ও তোরণ লাগানো হয়েছে। শহর জুড়ে সম্মেলনের পোষ্টারিং করা হয়। এদিকে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দুটির জন্য ইতিমধ্যে কেন্দ্র এবং জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের কাছে ধর্ণা দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা।
শীর্ষ এ দুই পদে যাওয়ার জন্য পদ প্রত্যাশীরা চালিয়ে যাচ্ছেন জোর তদবির ও লবিং। তারা বিভিন্নভাবে তাদের যোগ্যতা এবং দলের জন্য ত্যাগকে সামনে এনে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও নিজেদের আইডিতে দলীয় কর্মকান্ডের ছবি প্রকাশ করে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছেন। তবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী এবং সংগঠনের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত এমন গুণাবলীসম্পন্ন লোকেরা শীর্ষপদে আসীন হতে পারেন বলে দলীয় নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন- জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুইট, খন্দকার আহমেদ শরিফ ডাবলু, ইঞ্জি. রুহুল আমিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. রফিকুল ইসলাম রুমন; সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সেলিম হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মামুন আজিজ খান তুষার, সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের সাবেক নির্বাচিত ভিপি আ. আজিজ, জেলা যুবলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক জুয়েল চৌধুরী, এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাএলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আহসানুল সরকার রাজিব এর নাম।
বিশ^স্থ সূত্র জানায়, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা দীর্ঘদিন ধরে পদ-পদবী বিহীন রয়েছেন। বিগত সময়ে জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ছাড়া অন্য কোন অঙ্গ সংগঠনের সম্মেলন না হওয়ায় এমন উদ্ভব পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই জেলা যুবলীগের সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন হবার পর থেকে এখন তারা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তাই হঠাৎ করেই পাবনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
জেলার সিদ্ধান্তকারী গুরুত্বপূর্ণ নেতারা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে। সম্মেলনকে সামনে রেখে নেতৃত্ব বাছাইয়ে যারা নেতৃত্বের যোগ্যতায় এগিয়ে থাকবে তারা শীর্ষ পদ পাবে। সে ক্ষেত্রে সাংগঠনিক যোগ্যতা, দক্ষতা ও দলের প্রতি নিবেদিতরাই এ পদে আসতে পারেন। এছাড়া আগামীতে দলের কঠিন মুহূর্তে সংগঠন সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে কি-না এটিও বিবেচনায় থাকবে বলে ওই সূত্র জানায়।
সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সুইট বাংলার মুখকে জানান, ইতিমধ্যে সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্র ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক যাদের যোগ্য মনে করবেন তাদের দিয়েই কমিটি হবে বলে তিনি জানান।