আদালতে কোনো আইনজীবী পাননি বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলার ১ নম্বর সাক্ষী ও নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
বুধবার বিকেলে আদালতে রিমান্ড শুনানির সময় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। মিন্নিকে আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে মিন্নির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।আদালত সূত্রে জানা যায়, রিমান্ড শুনানির সময় আদালতে মিন্নির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আইনজীবী না থাকায় বিচারক মিন্নির কাছে জানতে চান, ‘আপনার পক্ষে যেহেতু কোনো কৌঁসুলি নেই, তাই এ বিষয়ে আপনার কোনো বক্তব্য আছে?’
বিচারকের এই প্রশ্নের জবাবে মিন্নি বলেন, ‘আমি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত নই।’
বুধবার বিকেলে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির।
রিমান্ড আবেদনে হুমায়ুন কবির উল্লেখ করেন, রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে মিন্নির জড়িত থাকার বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি আমরা। এজাহারভুক্ত একজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে মিন্নি এই হত্যা পরিকল্পনায় ছিলেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তাই অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিন্নির রিমান্ড আবেদন করছি।
রিমান্ড আবেদনে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, রিফাত হত্যাকাণ্ডের আগের দিন প্রধান আসামি নয়ন বন্ডের সঙ্গে মিন্নির ফোনালাপের তথ্যও পাওয়া গেছে। এসব বিষয় নিশ্চিত হতে এবং মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এরপর মিন্নির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বরগুনার বিচারিক হাকিম মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আমি তিনজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তাদের দাঁড়ানোর কথা ছিল। আমার মনে হয়, প্রতিপক্ষের ভয়ে তারা আমার মেয়ের পক্ষে দাঁড়ায়নি। আমার মেয়ের পক্ষে অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন, অ্যাডভোকেট নাসির ও অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদেরের দাঁড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু তারা কেউই দাঁড়াননি।
মিন্নির পক্ষে আদালতে না দাঁড়ানোর কারণ জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন বলেন, মিন্নির বাবা মোজাম্মেল তার মেয়ের পক্ষে আমাকে দাঁড়ানোর কথা বলেছিল। কিন্তু আমি তার পক্ষে দাঁড়াইনি। তবে কী কারণে দাঁড়াইনি তা বলতে পারব না।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার মিন্নিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার দুপুরে মিন্নিকে কড়া পুলিশ প্রহরায় আদালতে হাজির করা হয়।