গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি দেখা দিয়েছে। তিস্তার চরাঞ্চলের বসতবাড়ির ঘরের চালে উঠে গেছে পানি। কোথাও ঠাই নেই চরবাসীর। গতকাল বোরবার বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে ফিরে দেখা গেছে, ঘরবাড়ি ছেড়ে গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে চরবাসী ছুঁটছে আশ্রয় কেন্দ্র, উঁচুস্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এবং স্বজনদের বাড়িতে। উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কপাসিয়া ইউনিয়নের সবগুলো ওয়ার্ড এখন পানির নিচে। পানিবন্ধি পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। বন্ধ হয়ে গেছে চরাঞ্চলের ২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম। ডুবে গেছে তরিতরকারিসহ সব ফসলের ক্ষেত। পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে ৬টি ইউনিয়নের কমপক্ষে ৩০ হাজার পরিবার।
ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে হাজারও একক জমির মৌসুমি ফসল। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে যে পরিমান ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের যোগায়োগ ব্যবস্থা। ঘরবাড়ি ছেড়ে যাওয়া পরিবারগুলো নৌ-ডাকাতির শঙ্কায় রয়েছে। অনেক চরবাসী রাত জেগে ঘরের চালে দাঁড়িয়ে থেকে বাড়ি পাহাড়া দিচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, চরাঞ্চলে বসবাসরত পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে শুকনো খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আরও ত্রাণ সামগ্রীর জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্রাই তা বিতরণ করা হবে।