অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে। পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে হাজারও পরিবার। অনেক পরিবার তাদের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। চরাঞ্চলের বসতবাড়ি ডুবে যাওয়ায় অনেক পরিবার টিনের চালার উপর বসবাস করছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী কাপাসিয়া ইউনিয়নের উত্তর লালচামার, লালচামার, উজান বুড়াইল, ভাটি বুড়াইল এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন, কাপাসিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম। বাড়ছে পানি ডুবছে চর। যার কারণে নিচু এলাকার পরিবারগুলো পানিবন্দি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গৃহপালিত পশু পাখি নিয়ে বিপাকে পড়ে চরাঞ্চলবাসী। গত এক সপ্তাহ ধরে টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীর চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। নিচু এলাকায় বসবাসরত পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় সাথে সাথে ভাঙনের তীব্রতা অনেকটা বেড়ে গেছে। হরিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। কাপাসিয়া ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি গ্রামের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, গত সোমবার রাত হতে উজান থেকে পানি ধেঁয়ে আসছে। সে কারণেই বিভিন্ন চর প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পায়ে হেঁটে চলাচল করতে পারছে না চরাঞ্চলবাসী। যে হারে পানি বেড়েই চলছে তাতে করে আগামী ৩৬ ঘন্টার মধ্যে গোটা চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনেক পরিবার তাদের গৃহপালিত পশুপাখি, ধান, চাল, আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, তার ইউনিয়নের ৭টি ওয়ার্ড পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, এখনও পানিবন্দি পরিবারগুলো চরেই বসবাস করছে। পানি আরও বেড়ে গেলে তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। চেয়ারম্যানদেরকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। এমনকি চরবাসিকে সর্তক থাকার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এখনও পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।