যশোরের শার্শা উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রক্ত পরীক্ষার জন্য মেয়াদ উত্তীর্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করার প্রত্যক্ষ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্যাথলজিক্যাল বিভাগে রক্ত পরীক্ষার জন্য মেয়াদ উত্তীর্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করার ফলে রুগীদের কাংখিত সেবা দিতে বঞ্চিত হচ্ছেন চিকিৎসকরা। আর মেয়াদ উত্তীর্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করার কারনে সঠিকভাবে রোগ নির্নয় করা চিকিৎসকদের পক্ষে সম্ভব হয়না।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার বুরুজবাগান স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্যাথলজিক্যাল বিভাগে সরেজমিনে দেখা গেল রক্ত পরীক্ষার জন্য মেয়াদ উত্তির্ন কেমিক্যালের (ই,এস, আর ফ্লুইড) ৩টি বোতল ল্যাব টেকনিশিয়ান হুমায়ুন কবীরের টেবিলের সামনে রাখা আছে।
কেমিক্যাল বোতলের গায়ে কেমিক্যাল ব্যবহারের মেয়াদ লেখা আছে এপ্রিল ’ ২০১৯। প্যাথলজিক্যাল বিভাগের ষ্টোর রুমে একটি ছেড়া কার্টুনে আরও ১৫টি কেমিক্যাল বোতলের গায়ে কেমিক্যাল ব্যবহারের মেয়াদ লেখা আছে এপ্রিল ’ ২০১৯।
টেকনিশিয়ান হুমায়ুন কবীরের কাছে মেয়াদ উত্তীর্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করার কারন জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদকের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ন কেমিক্যাল আরও ৬মাস ব্যবহার করা যাবে।
বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অশোক কুমার সাহাকে জানালে তিনি প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক আবুল কাশেমকে মেয়াদ উত্তীর্ন কেমিক্যাল যাচাই-বাচাই করতে পাঠান। মেয়াদ উত্তীর্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করার কারন জানতে চাইলে হুমায়ুন কবীর প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক আবুল কাশেমের সাথেও খারাপ আচরন করেন।
আবুল কাশেম মেয়াদ উত্তীর্ন কেমিক্যালের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই মেয়াদ উত্তীর্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করা মারাত্মক ও দন্ডনীয় অপরাধ। সে সরকারের সম্পদ অপচয় করেছে । এজন্য তার শাস্তি হওয়া উচিৎ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অশোক কুমার সাহা বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করা মারাত্মক ও দন্ডনীয় অপরাধ এবং ক্ষমার অযোগ্য। সাড়ে ৩মাস যাবৎ কয়েক”শ জনগনের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। ল্যাব-টেকনিশিয়ান হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক আবুল কাশেমকে নির্দেশ দেন।