ঈশ্বরদীর ভেলুপাড়া গ্রাম হতে নিখোঁজ হওয়া স্কুলছাত্রী স্বর্ণা খাতুনকে (১৪) উদ্ধার করেছে র্যাব। নিখোঁজের ২৫দিন পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের সলংগা হতে তাকে উদ্ধার করেছে র্যাব ১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় ঈশ্বরদীর চরমিরকামারী গ্রামের ফজলুর রহমানের কন্যা আরজিনা খাতুন (২৭) নামে এক নারীকে আটক করা হয়।
র্যাব ১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এএসপি জামিল আহমেদ জানান, গত ১৫ জুন বিকেলে স্বর্ণা কেনাকাটার জন্য বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি হতে বের হয়। এরপর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। তার মুঠোফোনও বন্ধ ছিল। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও মেয়ের সন্ধান না পেয়ে পরিবারের পক্ষ হতে প্রথমে ঈশ্বরদী থানায় ও পরে র্যাবের সহযোগীতা চাইলে র্যাব তদন্ত শুরু করে। মোবাইল কল লিস্ট ও বিভিন্ন সূত্রে অনুসন্ধান শেষে বুধবার সিরাজগঞ্জের সলংগা থেকে স্বর্ণাকে উদ্ধার করে র্যাবের একটি দল। এএসপি জামিল আরো জানান, বুধবার রাতেই থানা পুলিশের কাছে স্বর্ণা ও আর্জিনাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহঃস্পতিবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে ঈশ্বরদী থানা জানিয়েছে। এই অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহিন স্বর্ণার বরাত দিয়ে জানান, পরিবার হতে জোরপূর্বক বিয়ে দেবার চেষ্টা করায় স্বর্ণা আর্জিনার সহযোগীতা নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। কয়েকদিন ঢাকায় মোহাম্মদপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থানের পর, বুধবার তারা সিরাজগঞ্জে র্যাবের কাছে ধরা পড়ে। স্বর্ণার পরিবার, আর্জিনাসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে গত ১ জুলাই ঈশ্বরদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় এ পর্যন্ত চারজন গ্রেফতার হয়েছে।
ঈশ্বরদী উপজেলার আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী স্বর্ণা খাতুনকে গত ১৫ জুন হতে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সে ঈশ্বরদী শহরের ভেলুপাড়া এলাকার মাসুদ রানার মেয়ে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ভেলুপাড়া গ্রামের সেলিমের স্ত্রী সুমি খাতুন ও দিনাজপুর চিরিবন্দর উপজেলার হরানন্দনপুর গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে আশিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে।