কক্সবাজার সৈকতের সি-গাল পয়েন্ট থেকে উদ্ধার মরদেহের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার ভোররাত সাড়ে তিনটায় বালিয়াড়ি থেকে ৪টি ও বেলা সাড়ে ৯টার দিকে ট্রলারের ভেতর থেকে অপর দু’টি মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান।
ট্রলারে থাকা দুইজনকে সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের বরাতে নিহতরা ভোলার বাসিন্দা বলে জানা গেলেও বিস্তারিত পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
তবে, সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে উদ্ধার হওয়া একজনের নাম মনির মাঝি, অপরজন জুয়েল।
জুয়েল জানায়, গত ৭ জুলাই ভোলা থেকে তারা ১৫ জন ট্রলার নিয়ে বের হন। বৈরী আবহাওয়ায় পড়ে তাদের ট্রলার ডুবে গেছে, এতটুকু তার মনে আছে। এরপর তারা কোথায় গেছেন, কি অবস্থা হয়েছে তার কিছুই মনে নেই। ভোলায় তারা কোন এলাকার অধিবাসী সে ব্যাপারে জানা সম্ভব হয়নি। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ওসি খায়রুজ্জামান জানান, রাতে বিচে থাকা কর্মীরা সৈকতে মরদেহ ভেসে আসার খবর দিলে পুলিশ সি-গাল পয়েন্টে গিয়ে চার মরদেহ উদ্ধার করে। বালিয়াড়িতে উঠে আটকে যাওয়া ফিশিং ট্রলারে রাতের আঁধারে জাল ও অন্য সরঞ্জাম দেখে ফিরে যায় পুলিশ। কিন্তু সকালে বিচে আসা লোকজন ট্রেলারের ভেতর আরো দু’টি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে মর্গে নিয়েছে।
এতে মরদেহের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে দাঁড়িয়েছে। সকল মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। মরদেহগুলো অনেকটা বিকৃত হয়ে গেছে।
অপরদিকে, সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট হতে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার দু’জনের বরাতে জানা গেছে নিহতরা ভোলা এলাকার জেলে। তাদের বিষয়ে খোঁজ পেতে ভোলায় যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন ওসি।
স্থানীয়দের ধারণা, মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চললেও ভারতীয় জেলেদের সাগরে থাকার প্রমাণ পেয়ে পেটের তাগিদে হয়ত জেলের দল রাতের আঁধারে ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে নামে। বৈরী আবহাওয়ায় বোট উল্টে তাদের মৃত্যু হতে পারে।