৬ জুলাই ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে স্বামীকে বাঁচাতে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা গেছে, সন্ত্রসীরা কলেজ গেট থেকে রিফাত শরীফকে টানতে টানতে সামনে নিয়ে যাচ্ছে, মিন্নি তখন স্বাভাবিকভাবে তাদের পেছনে হাঁটছেন। কয়েক সেকেন্ড পর রিফাতকে কোপানোর সময় মিন্নি ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর রিফাত শরীফ হেঁটে রিকশায় ওঠেন।
মিন্নি তখন ব্যাগ ও জুতা তুলে রিফাতকে খুঁজতে সামনে এগিয়ে যান। ভিডিওতে এ দৃশ্য দেখার পর মিন্নি কেন রিফাতকে কলেজের ভেতর নিয়ে যাচ্ছিলেন, সন্ত্রাসীরা রিফাতকে নিয়ে যাওয়ার সময় কেন স্বাভাবিকভাবে হাঁটছিলেন, শেষে রিফাতের দিকে না গিয়ে কেন জুতা-ব্যাগ তুলতে গেলেন? এসব নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক মাধ্যমে।
নতুন ভিডিও প্রসঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার মিন্নি বলেন, ঘটনার আকস্মিকতায় আমি হতভম্ব হয়ে ওদের পেছনে হাঁটতে থাকি। পরে ওরা আক্রমণ করলে প্রতিরোধের চেষ্টা করি। ওরা চলে যাওয়ার পর রিফাত নিজেই হেঁটে রিকশায় ওঠে, আমার পা কেটে যাওয়ায় হাঁটতে পারছিলাম না, তাই জুতা পায়ে দেই। তখন একজন আমার হাতে ব্যাগ তুলে দেয়। পরে আমি দ্রুত রিফাতকে নিয়ে হাসপাতালে যাই। ওই সময় দুজন মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের রিকশা ফলো করছিলো। বিতর্ক প্রসঙ্গে মিন্নি বলেন, আমি তো আপনাদের মেয়ে। আপনারা না জেনে কোনো মন্তব্য কইরেন না। বরগুনার এসপি মারুফ হোসেন বলেন, মিন্নি এ মামলার প্রধান সাক্ষী। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়িতে পাহারা বসানো হয়েছে।
রিফাত ফরাজী ফের ৭ দিনের রিমান্ডে
রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীকে অস্ত্র মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী গত সোমবার বিকেলে এই আদেশ দিয়েছেন।
বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন জানিয়েছেন, ২ জুলাই ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, এ সময় নয়ন বন্ডের সহযোগীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি গুলি, দুটি গুলির খোসা ও তিনটি রামদা উদ্ধার করা হয়। ঐ দিনই পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা এবং অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় সোমবার রিফাত ফরাজীকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। বিচারক তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।