দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার রাণীরবন্দর তাঁত বোর্ড বেসিক সেন্টারের অফিস পিয়ন ওয়ারেজ আলীর বিরুদ্ধে কখনো লিয়াজো অফিসার”কখনো সুপার ভাইজার সেজে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ও তাঁতীদের ঋাণ দেয়ার কথা বলে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবার চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চিরিরবন্দর অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নশরতপুর ইউনিয়নের রাণীরবন্দর বালাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল ছামাদের পূত্র চিরিরবন্দর বেসিক সেন্টার রাণীরবন্দর বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড অফিসের কর্মচারী মো. ওয়ারেজ আলী একই স্থানে দীর্ঘদিন চাকুরী করার সুবাদে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান তার পরম আত্মীয় দাবী করে রাণীরবন্দর তাঁত বোর্ড অফিসের ”অফিস সহকারী পদে চাকুরী দেয়ার নামে নশরতপুর ইউনিয়নের বড়ভিটা গ্রামের অতিকান্ত রায়ের কন্যা প্রিতিবালা রায়ের চাকুরী দেয়ার নাম করে বিগত ৩ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে দফায় দফায় ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অভিযোগে আরো জানাযায়, রাণীরবন্দর তাঁত বোর্ড বেসিক সেন্টারের লিয়াজো অফিসার মন্জুরুল হাসান মাসে দুই তিন দিন অফিসে উপস্থিত হয়ে একমাসের হাজিরা একদিনেই স্বাক্ষর করে আসার ফলে কর্মচারী পিয়ন ওয়ারেজ আলী কখনো সুপার ভাইজার ও কখনো লিয়াজো অফিসারের চেয়ারে বসে এলাকার লোকজনের কাছে আস্তা অর্জন করে তাঁতবোর্ড চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়ে চাকুরী দেয়ার নামে অবৈধ ভাবে উপার্জন করে আসছে। এছাড়া অফিস পিয়ন ওয়ারেজ আলী বিলুপ্ত হওয়া এ শিল্পে তাঁতীদের ভুয়া ব্যাংক চেক দেখিয়ে তোমাদের মোটা অংকের টাকা ঋন দেয়া হবে বলে তাঁতীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে হাজার হাজার টাকা।
রাণীরবন্দর তাঁতী সমিতির সভাপতি মো. সাদেক আলী জানান, বিভিন্ন কারনে চিরিরবন্দর উপজেলার রাণীরবন্দরের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প আজ বিলুপ্তের পথে। এখানকার তাঁতীরা ঋাণ খেলাপী হওয়ার কারনে ২০০৪ সাল থেকে এখানে ঋন বিতরন বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু অফিস পিয়ন ওয়ারেজ আলী তাঁতীদের ঋাণের কথা বলে এখনো হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । সর্বশান্ত করতেছে অনেক পরিবারকে।
ভুক্তভোগী অতিকান্ত রায় বলেন, আমি আগে কয়লার ব্যবসা করতাম,আমার জমি-জমা সবই ছিলো কিন্তু আজ কিছুই নেই বর্তমানে রিক্সা চালাই। পিয়ন ওয়ারেজ চাকুরী ও ঋাণ দেয়ার নাম করে সু-কৌশলে আমাকে সর্বশান্ত করেছে। প্রতারক ওয়ারেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমি মাননীয় প্রাধারমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ পত্রের চিঠি পাঠিয়েছি।
অভিযুক্ত অফিস পিয়ন ওয়ারেজ আলীর সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ১০ লক্ষ টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে অকোপটে বলেন অতিকান্ত রায় আমার কাছে মাত্র দশ হাজার পায়। এ গুলো সবই মিথ্যা।
এ বিষয়ে রাণীরবন্দর তাঁত বোর্ড বেসিক সেন্টারের লিয়াজো অফিসার মো. মন্জুরুল হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ৪টি জেলার দায়িত্বে আছি তাই প্রতিদিন অফিসে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয় না। চাকুরী দেয়ার নামে ও ঋাণ দেয়ার নামে ওয়ারেজের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা যদি প্রমানিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: গোলাম রব্বানী জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে । প্রমানিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।