কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামে তাওয়াক্কুলিয় হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হিসাবে দায়িত্ব পালণ করে আসছেন মাওলানা লুৎফুর রহমান কামালী। একটি অনলাইন পোর্টালে স্বেচ্ছায় মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন- সংবাদটি দেখে আমি মর্মাহত হয়েছি। মাদ্রাসা থেকে আমি অব্যাহতি নেয়নি। নিজ উদ্যাগে প্রতিষ্ঠিত বড়চেক তাওয়াক্কলি¬য়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং এতিমখানায় লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছি। গত ৫ জুলাই শুক্রবার সকাল ৯টায় মাদ্রাসায় কার্যকরী (আমেলা) কমিঠির এক বৈঠকে আমার নিজ উদ্যাগে মাদ্রাসায় ব্যয়কৃত ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার মধ্যে ৪ লক্ষ টাকা আগামী ৩০ আগষ্ট এর মধ্যে দেয়ার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। কার্যকরী (আমেলা) কমিঠির সদস্য হারুনুর রশিদ জানান- মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা লুৎফুর রহমান কামালী অব্যাহতি নেননি। আগামী ৩০ আগষ্টের মধ্যে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার পাওনা টাকা ফেরৎ দেয়ার কথা রয়েছে। কার্যকরী (আমেলা) কমিঠির সদস্য হায়দার আলী বলেন- মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা লুৎফুর রহমান কামালী সুনামের সহিত প্রায় ৬ বছর যাবৎ বিনা বেতনে দায়িত্ব পালণ করে আসছেন। মাদ্রাসার বিভিন্ন উন্নয়ন করে সুনাম অর্জন করেছেন। বর্তমানে প্রায় ৩শত ছাত্র রয়েছে। প্রকৃত বিষয় হল অত্র মাদ্রাসার পাশেই কুয়েতের অনুদানে একটি মক্তব গড়ে উঠেছে। সেই মক্তবটি বর্তমান শুরা কমিঠির সভাপতি আব্দুস সামাদ খান ওরফে খুরশেধ মিয়া মাদ্রাসায় রূপান্তর করতে ছাচ্ছেন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে কার্যকরী (আমেলা) কমিঠির সহ-সভাপতি জুনেল তরফদার বলেন- বড়চেগ তাওয়াক্কুলিয় হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা লুৎফুর রহমান কামালী অব্যাহতি নেননি। আইন অনুয়ায়ী তিনি এখনও অত্র মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল।