নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পুলিশের তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আজিজুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে দয়ারামপুর ইউনিয়নের চন্দ্রখইর এলাকায় বড়াল নদীতে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নদীর শেওলায় জড়িয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে। নিহত আজিজুল ইসলাম উপজেলার চন্দ্রখইর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সেখের ছেলে। ঘটনার পর স্থানীয় জনগন পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে আজিজুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী বিদ্যুৎ নগর বাজার থেকে ফিরছিল। এসময় পুলিশের একটি দল অভিযানে গিয়ে মাদকসেবী সন্দেহে আজিজুল ইসলামকে ধাওয়া করে। গ্রেফতার এড়াতে পুলিশের তাড়া খেয়ে সে বড়াল নদীতে ঝাঁপ দেয়। এরপর বড়াল নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর স্থানীয় জনতা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাটোর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়। এদিকে বিকালে নিহত আজিজুল ইসলামের লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই রাশিদুল ইসলাম জানান, বাগাতিপাড়া মডেল থানা পুলিশের এস আই সাজ্জাদ ও তার সঙ্গে থাকা অপর একজন কনস্টেবল তার ছোট ভাই আজিজুল ইসলামকে তাড়া দিয়েছিল। ওই তাড়া খেয়েই তার ছোট ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
অপরদিকে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম সেখ পিপিএম জানান, নদীর যে স্থান থেকে আজিজুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তা দহের মতো। সেখানে এর আগেও গরু-মহিষ শেওলায় আটকে মারা গেছে। প্রাথমিক ভাবে নদী পারাপারের সময় শেওলায় আটকে আজিজুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি ধারনা করেন। তবে পুলিশের তাড়া খেয়ে মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে ।
শনিবার বিকেলে নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত সংবাদকর্মীরা এ বিষয়ে তার মতামত জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নাই।