চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
পাকতে শুরু করেছে রোপা আমন ধান। ধান পাকার ঠিক আগ মুহুর্তে পাবনার চাটমোহরের বেশ কিছু মাঠের রোপা আমন ধানের ক্ষেতে পোকার আক্রমনে দিশেহারা হয়ে পরেছেন এ এলাকার কৃষক। ব্যাপক ভাবে ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করছেন তারা।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে ৭ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। অর্জন হয়েছে ৭ হাজার ৫৩০ হেক্টর। চাটমোহরের পার্শ্বডাঙ্গা, মুলগ্রাম, ডিবিগ্রাম, মথুরাপুর ও হরিপুর উপজেলায় রোপা আমন ধান চাষ বেশি হয।
গতকাল সরেজমিন উপজেলার রামনগর মাঠে গেলে ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমনের ভয়াবহতা লক্ষ্য করা যায়। বাদামী গাছ ফড়িং (স্থানীয় ভাষায় কারেন্ট পোকা) ও পাতা মোড়ানো (লিফ ফোল্ডার) পোকার আক্রমনে আধা পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধানের শীষে চিটার পরিমান বেশি হওয়ায় তা ভাবিয়ে তুলছে কৃষককে। গাছের পাতা কান্ড শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। পাতায় হলুদ দাগ পরে যাচ্ছে। সংক্রমিত হচ্ছে পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেতও। প্রায় পাকা ধানেও কীটনাশক স্প্রে করছেন কৃষক।
রামনগর গ্রামের কৃষক এনামুল হক জানান, গত কয়েকদিন যাবত রোপা আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। আক্রান্ত জমিগুলোর ধানের ফলন অর্ধেকে নেমে আসার আশংকা করা হচ্ছে। ধান ঘরে তোলার ঠিক পূর্ব মুহুর্তে পোকার এমন আক্রমনে দিশেহারা হয়ে পরছেন কৃষক। মুনজিল হোসেন নামক অপর কৃষক জানান, দেখতে দেখতে ধানগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পোকার আক্রমন রোধে কৃষক শেষ সময়ে এসেও কীটনাশক প্রয়োগে বাধ্য হচ্ছেন। ফলন বিপর্যয়ের কারণে অনেক কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা জসিম উদ্দীন জানান, আগামি সাত-দশ দিনের মধ্যে যে জমিগুলোর ধান কাটা যাবে সেগুলোতে কীটনাশক স্প্রে করার দরকার নাই। তবে, বিশ থেকে পঁচিশ দিন পর যে জমির ধান কাটা হবে সেসকল জমিতে নাইট্রো বা ঐ গ্রুপের কীটনাশক স্প্রে করা যাবে। পোকার আক্রমন ব্যাপক হলে ফলন বিপর্যয় ঘটতে পারে।