আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘিতে এক গৃহবধু (২১) কে ধর্ষনের চেষ্টা মামলার তদন্ত রির্পোট দুই মাসেও আদালতে প্রেরন করা হয়নি। ফলে মামলার বাদিনী সুষ্ট বিচার পাবে কিনা তা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন বলে বাদিনীর অভিযোগ।
বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এ দায়ের করা আদমদীঘি উপজেলার ডহরপুর গ্রামের এক গৃহবধুর স্বামী একজন গৃহ নির্মান শ্রমিক। তার একমাত্র শিশু সন্তানকে নিয়ে এক বাড়িতে থাকতেন। তাকে পাশের বাড়ির রবিন নামের এক যুবক প্রায় উত্যক্ত করতো। গত ৬ মাস পুর্বে গৃহবধুর স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে রবিন বাড়িতে ঢুকে কুপ্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় সে নানা হুমকি দিয়ে চলে যায়। ঘটনাটি গৃহবধু তার স্বামীসহ পরশিদের জানান হয়। এরপর থেকে রবিন আরো বেপরোয়া হয়ে বাড়ির পাশে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করে ধর্ষন করার পায়তার করে। এমতাবস্থায় গত ৩১ জুলাই রাতে গৃহবধুরর স্বামী কর্মস্থল থেকে আসতে দেরী হওয়ায় গৃহবধু রাতে সংসারের কাজ করার সময় রবিন নামের ওই যুবক কৌশলে তার শয়ন ঘরে ঢুকে লুকে থাকে। রাত ১০ টায় গৃহবধু শয়ন ঘরে খাবার খেতে বসলে রবিন হটাৎ ঘর থেকে বের হয়ে ওই গৃহবধুকে ঝাপটে ধরে জোরপুর্বক পড়নের কাপড় খুলে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় গৃহবধু রবিনকে ধাক্কা দিয়ে চিৎকার করলে পড়শিরা এগিয়ে এলে রবিন পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন ওই গৃহবধু বাদি হয়ে রবিনের বিরুদ্ধে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে আদমদীঘি থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেন। কিন্তু থানা তার মামলাটি গ্রহন না করায় বাধ্য হয়ে গত ১৯ আগষ্ট বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এ (৩৬২পি/২৪) একই গ্রামের নিপুন হোসেনের ছেলে ট্রাক চালক রবিন (২৮) কে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৪) (খ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত বাদিনীর আনিত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তা সরজমিনে তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আমদীঘি উপজেলা অনসার ও ভিডিপি অফিসারকে নির্দেন দেন। এদিকে আনসার ও ভিডিপি অফিসার ঘটনাটি তদন্ত করার দুই মাস পার হতে চললেও তার প্রতিবেদন আদালতে প্রেরন করা হয়নি। বাদিনী জানান, সঠিক সময়ে আদালতে প্রতিবেদন না দিয়ে কালক্ষেপন করায় তিনি সুষ্ট বিচার পাবেন কিনা না তা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন। আদমদীঘি উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার নিরুপমা সরকার বলেন অল্প দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হবে।