পৃথিবী সৃষ্টির পর বেশ কয়েকটি বরফ যুগের আবির্ভাব হয়েছে। প্রায় আড়াই মিলিয়ন বছর আগেই এই সময়কে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘প্লাইস্টোসিন’ যুগ। সে সময়ের দৃশ্যপট তুলে ধরে নির্মিত হয়েছে অ্যানিমেটেড ফিল্ম ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘আইস এজ’। যেখানে তুলে ধরা হয়েছে স্তন্যপায়ী প্রাণিদের টিকে থাকার লড়াই নিয়ে নানান কল্প-কাহিনী। ফলে সিনেমাপ্রেমীদের কাছে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি হয়ে ওঠে ‘আইস এজ’।
‘আইস এজ’ ফ্র্যাঞ্চাইজির এখন পর্যন্ত ৫টি সিনেমা দেখে নিয়েছে দর্শকরা। কিন্তু নির্মাতারা হয়ত মনে করেছেন, ৫টি সিকুয়েলেও এতবড় যুগের কল্প-কাহিনী আঁটাতে যথেষ্ট নয়। এছাড়াও বিশ্বওব্যাপী অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমাও এটি। তাই তো ‘আইস এজ’ দর্শকদের জন্য সুসংবাদ জানাতেও দেরী করলেন না নির্মাতারা। জানা গেল, ফ্রাঞ্চাইজির ৬ষ্ঠ সিকুয়েলের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি ব্রাজিলের ডি২৩ সম্মেলনে জানানো হয় এ খবর। একইসঙ্গে ডিজনির চ্যানেল থেকে আইস এজের ভয়েস আর্টিস্টরাও ‘আইস এজ সিক্স’ সিনেমাটি নির্মাণের কথা প্রকাশ্যে আনেন। সাম্প্রতিক এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে ভক্তদের লম্বা অপেক্ষারও অবসান ঘটল।
২০০২ সালে আসে ‘আইস এজ’- এর প্রথম পর্ব। এরপর ধাপে ধাপে ৫ টি পর্ব আসে। এ ফ্রাঞ্চাইজির সর্বশেষ সিনেমা ‘আইস এজ: কলিশন কোর্স’ মুক্তি পায় ২০১৬ সালে। তার আট বছর পরেই এল ষষ্ঠ পর্বের ঘোষণা।
বলে রাখা ভালো, আইস এজ ফ্র্যাঞ্চাইজির শেষ পর্ব বক্স অফিসে ব্যবসা করে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি! আর সবকটি পর্ব মিলিয়ে ‘আইস এজ’ এর আয় ছিল ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার। ফলে আইস এজের পরের সিকুয়েল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করছিল ডিজনি।
তবে আইস এজের ষষ্ঠ পর্বটি কবে মুক্তি পাবে, তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৬ সালেই দর্শক আরেকবার দেখতে পাবেন ম্যানি, সিড, ডিয়াগো, জুলিয়ান, রজার, স্কার্টসহ- আইস এজের জনপ্রিয় চরিত্রগুলোকে।
সূত্র : হলিউড রিপোর্ট, ডেডলাইন