শশুরবাড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে গলায় রশি পেঁচিয়ে খানসামায় এক যুবকের আত্মহত্যা 

এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: শশুরবাড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে গলায় রশি পেঁচিয়ে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার দক্ষিণ বালাপাড়া এলাকায় রমজান আলী মিলন (২২) নামে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত যুবক মিলন পেশায় একজন দিনমজুর।
নিহত যুবক রমজান আলী মিলন উপজেলার দক্ষিণ বালাপাড়া ধুদিপাড়া এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে।
এই ঘটনাটি রবিবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নিজ বাড়িতে ঘটেছে।
নিহতের বড় ভাই নুর আলম, থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৪ বছর আগে প্রস্তাবের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ঘাটেরপাড় এলাকার শাহানাজ নামে এক মেয়ের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা বিষয়ে তাদের সংসারে ঝগড়াঝাটি লেগে থাকতো। এইজন্য প্রায় সময়ই স্ত্রী বাবার বাসায় থাকতো। সর্বশেষ গত ০৩ মাস আগে নিহতের স্ত্রী দেড় বছরের ছেলে সন্তানসহ তাঁর শশুরবাড়ি এসেছিল। ঢাকা থেকে বাসায় এসে গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতে নিহত মিলন  বউ আনার জন্য শশুরবাড়ি যায়। এই সময়ে ৪ দিন ধরে তাঁকে ঘরে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে পুনরায় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা কাবিননামা করে পুনরায় বিয়ে দেয়। কিন্তু রবিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজ বাসায় একাই ফিরে আসে সে। এসময় নিহত মিলন শশুরবাড়ির নির্যাতনের কথা তাঁর ভাই ও পরিবারের সদস্যের জানায়। পরবর্তী সময়ে সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে আবদ্ধ রুমে সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানায় ও স্থানীয়দের খবর দেয় তাঁর বড় ভাই।
নিহতের বড় ভাই ভ্যানচালক নুর আলম বলেন, আজ সোমবার সকালে আমিসহ পরিবারের সদস্যরা জীবিকার খোঁজে বাইরে যায়। বিকেলে দেখি মিলনের ঘর আবদ্ধ কোন সাড়াশব্দ নাই। পরে দরজা ভেঙে দেখি রশিতে ঝুলে আছে সে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজমুল হক বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শশুরবাড়ির লোকজনের সাথে মনোমালিন্যে এমন মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।