নাজিম হাসান, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহীরবাগমারা ও আশেপাশের হাট-বাজার গুলোতে নিত্যপন্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতা সাধারন দিশেহারা। এখানে বন্যার প্রকোপ, উৎপাদনে খরচ বেশি সহ নানান অজুহাতে পন্যের দাম বাড়িয়েই চলেছেন ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি বাগমারা সহ আশেপাশের এলাকায় নিত্যপন্যের দাম বেড়েই চলেছে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা স্বাধীন পন্যের মূল্য বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ ভোক্তা সাধারনের। তারা এই অনিয়ম নিরসনে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দাবী জানান। এ নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন নি¤œ ও সীমিত আয়ের লোকজন। তাদের এখন নুন আনতে পানতা ফুরানোর অবস্থা। স্থানীয় বাজার ঘুরে ও ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বাজারের এই বেহাল অবস্থা। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এখানে প্রায় সব ধরণের সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সবজি ছাড়াও এখানে ব্রয়লার মুরগীর ডিম প্রতি হালিতে ১২ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। এছাড়া স্থানীয় হোটেলগুলোতে প্রতিটি খাবারের দাম বেড়েছে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ। আগে ১০ টাকার রুটি এখন ১৫ টাকা, ৭ টাকার পরোটা এখন ১২ টাকা। সেই সাথে কমেছে খাবারের মানও। ভোক্তারা বলছেন হোটেল মালিকরা প্রতিটি খাবারের দাম বৃদ্ধি করলেও খাবারের মান অনেক কমে গেছে। এদিকে মুরগীর ডিমের পাশাপাশি বেড়েছে মুরগীর দামও। ব্রয়লার মুরগী ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। দেশী মুরগী ৫০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা এবং সোনালী ৩৫০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সম্প্রতি ভবানীগঞ্জ ও তাহেরপুর হাট ঘুরে এমন চিত্রই লক্ষ করা গেছে। এসব হাটে রসুন ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০ টাকা, পটল ৮০ টাকা থেকে বেড়েছে ১০০ টাকা। এছাড়া আগের ৪০ টাকার বেগুন ৮০ টাকা। অপর দিকে দাম বৃদ্ধি পেয়ে ঢ্যারশ ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, ছোট বড় সব ধরনের লাউ ৫০ টাকা, করলা ১০০, মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৭০ টাকা, কচুর লথি ও ঝিঙার কেজি ৬০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি রুই কাতলা ৩৫০ টাকা, শিং ৬০০, চিংড়ি ৯০০, কই ৪০০, সিলভার কার্প বড় সাইজ ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভবানীগঞ্জ বাজারে সবজি কিনতে আসা চাঁনপাড়া মহল্লার শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, বাজারে হটাৎ করেই মাছ, মাংস ও সবজির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহ থেকে ্েথকে এখন সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। গোড়াউন মোড়ের ভ্যান চালক বেলাল বলেন, সকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ভ্যান চালিয়ে ৫ থেকে ৬শ টাকা আয় হয়। এই টাকা দিয়ে সাত সদস্যের পরিবার চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। একই এলাকার অটো চালাক আব্দুস সামাদ জানান, মালিকের অটো ভাড়া নিয়ে দিন শেষে যে আয় হয় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিন মুদির দোকাণে বাঁকির পরিমান বেড়েইে চলেছে। এ বিষয়ে ইউএনও মাহবুবুল ইসলাম জানান, বাজার মনিটনিং ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ করে থাকেন। তারা চাইলে প্রশাসন সহযোগিতা করে। তারপর এ বিষয়ে আমরা খোজখবর নিয়ে দেখব।