গুরুদাসপুরে নীতিমালা অনুসারে সার না পাওয়ার অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ীদের

নাটোর প্রতিনিধি..
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নাটোরে গুরুদাসপুরে বিসিআইসি ডিলারগণ খুচরা ব্যবসায়ীদের সার ও কমিশন না দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে খুচরা সার ডিলাররা। সোমবার (২১অক্টোবর) বেলা ১১ টায় পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারস্থ একটি রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা খুচরা সার ডিলার কমিটির সভাপতি শরিফুল ইসলাম। পরে বক্তব্য রাখেন সায়েম সরদার,আতিকুল ইসলাম,ফেরদৌস আলম,আরব আলী,হাফিজুল ইসলাম। এসময় উপজেলা,পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের খুচরা সার ডিলাররা উপস্থিত ছিলেন।
খুচরা সার ব্যবসায়ীরা বলেন,‘তারা সরকারী পরিপত্র অনুসারে নিয়মনীতি অনুসরন করে খুচরা সার ব্যবসায়ী হিসাবে জামানত সাপেক্ষে সরকারীভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। নীতিমালা অনুসারেই দীর্ঘ সময় তারা সরকার নিযুক্ত ডিলারদের মাধ্যমে প্রাপ্ত সারের ৫০ শতাংশ ও নির্ধারিত কমিশন পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু গত আগষ্ট মাস থেকে বিসিআইসি সার ডিলারগন খুচরা ব্যবসায়ীদের সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। বেশি মুনাফা লাভের আসায় ডিলাররা সিন্ডিকেট করছে। একারনেই খুচরা ব্যবসায়ীরা সার ও কমিশন পাচ্ছেনা। বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েও সুবিচার না পাওয়ার দাবী ওই ব্যবসায়ীদের’ ।
তারা আরো বলেন,‘হাতের নাগালে সার না পেয়ে কৃষকরা হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উপজেলা সদরে এসে তাদের সার সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এতে সময় অপচয় হচ্ছে,উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। সরকারি নীতি অনুযায়ী কমিশনসহ সার পাওয়ার দাবি জানান সংশিষ্ট কর্মকর্তার কাছে’।
এব্যাপারে উপজেলা বিসিআইসি সার ডিলার কমিটির সভাপতি আব্দুস সোবাহান মুঠোফোনে বলেন, ‘খুচরা সার ডিলার ব্যবসায়ীরা যে সকল অভিযোগ করছেন তা মিথ্যা। সেপ্টেম্বর মাসে সকলেই সকল ধরনের সার উত্তোলন করেছে। তাছাড়াও চলতি মাসে খুচরা অনেক ব্যবসায়ীরা ইউরিয়া, নন ইউরিয়া সার উত্তোলন করেছে। যারা সার উত্তোলন করতে চায় তাদেরকে অবশ্যই আমরা দিবো। উদ্দেশ্যমুলক ভাবে তারা আমাদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
উপজেলা নির্বাহী ও বীজ সার মনিটরিং কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা আক্তার বলেন, ‘খুচরা সার ব্যবসায়ীরা তাদের অভিভুক্ত বিসিআইসি ডিলারদের কাছে সার না পাওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে জানালে তদন্ত সাপেক্ষে সার না দেয়া ডিলারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’