মরে গেলেও আমার মুখ বন্ধ হবে না, লিখে রাখেন: জেড আই খান পান্না

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না বলেছেন, আজ (সোমবার) একটি পত্রিকায় দেখলাম, বাদী বলেছে সে আমাকে চেনেই না। তাহলে এই হত্যাচেষ্টার মামলা কেন, আমার বিবেক বা মুখ বন্ধ করার জন্য হয়তো। তবে আমি মরে গেলেও আমার বিবেক বা মুখ বন্ধ হবে না- এটা আপনারা লিখে রাখেন।

সোমবার হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ জামিন আদেশ পাওয়ার পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

জেড আই খান পান্না বলেন, আমি এমন কোনো কাজ করিনি যে আমার নামে মামলা দেওয়া হবে। রাজনৈতিক মামলা হলে মেনে নিতাম। সেখানে আমার আপত্তি ছিল না, জীবনে অনেক মামলা খেয়েছি। তবে একটা হত্যাচেষ্টার মামলা তাও মেরাদিয়ায়; যেটা কোথায় আমি জানি না, ওখানে কখনো যাইওনি। এটা আমাকে কষ্ট দিয়েছে।

আদালতে জেড আই খান পান্নার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, আইনজীবী আলী আহমেদ খোকন, আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেনসহ অনেকে।

রোববার রাজধানীর খিলগাঁও থানায় করা হত্যাচেষ্টা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

গত বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়। এ মামলায় আসামি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবী জেড আই খান পান্না এ মামলার ৯৪ নম্বর আসামি।

গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলাম নামে একজনকে গুলি ও মারধর করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়। গত ১৭ অক্টোবর মামলাটি করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া বাজারের পশ্চিমে শুক্কুর আলী গার্মেন্টস মোড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন বাদী মো. বাকেরের ছেলে আহাদুল ইসলাম।

এ সময় পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন এবং ১৪ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ ককটেল ও সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটান এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে নসাৎ করার জন্য হত্যার উদ্দেশ্যে এ গুলি চালানো হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

সেখানে আহাদুল ইসলাম বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। সন্ত্রাসীরা তাকে লাঠিপেটাও করেন। আহাদুলকে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিক, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।