নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর সদর আসনের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শিমুল নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে কোনো ছবি না দিয়ে সাবেক এমপি শিমুল তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ ও প্রোফাইলে একটি লেখা পোস্ট করেন। যেখানে তিনি লেখেন, ‘পথ পথিক সৃষ্টি করে না, পথিক পথ সৃষ্টি করে, শুধু সময়ের অপেক্ষা’।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে আত্মগোপনে যাওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম ফেসবুক পোস্ট। বিষয়টি নিয়ে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে আলোচনা–সমালোচনা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ও ৪ আগস্ট নাটোর শহরের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় সাবেক এমপি শিমুল ও তার অনুসারীরা। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যান। এরপর শফিকুল ইসলাম শিমুল ও আত্মগোপনে চলে যান। এরপর সাবেক এই এমপির বিরুদ্ধে চারের অধিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে নাটোর সদর থানায়। বর্তমানে জেলার প্রভাবশালী এই রাজনৈতিক নেতা দেশে নাকি বিদেশে রয়েছেন তা নিয়েও চলছে আলোচনা সমালোচনা।
আত্মগোপনে যাওয়ার ২ মাস ১০ দিন পর ফেসবুকে পোস্ট দেন সাবেক এই প্রভাবশালী এমপি। আজ বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত ওই পোস্টে রিয়েক্ট এসেছে দুই হাজারেরও বেশি এবং মন্তব্য হয়েছে ৬০০টির উপরে। ওই ফেসবুক পোস্টের মন্তব্যের ঘরে অনেকে কটাক্ষ করে সমালোচনা করেছেন। আবার অনেক নেতাকর্মী তার এমন পোস্টে উজ্জীবিত হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন।
কাউসার ইভান নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘দলটা শেষ করে এখন পথ দেখিয়ে লাভ নেই’ আবু তালিব লিখেছেন, ‘ এ জনমে রাজনীতি করার আর সুযোগ পাবেন বলে মনে হচ্ছে না।’ মো. ফজলে রাব্বী লেখেন, ‘মানুষ খুন কেন করছিলেন ভাই.? মানুষের ভোটের অধিকার কেন হরন করেছিলেন?’।
সোহেল রানা লিখেন, ‘ শিমুল দেখি গর্তে থেইকা বের হইছে’। আল আমিন লেখেন, যে নেতা কর্মীদের কথা চিন্তা না করে, নিজের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। তার দ্বারা দেশ ও জনগণের কোন কল্যাণ বয়ে আসে না’
আবার অনেক নেতাকর্মী তার এমন পোস্টে উজ্জীবিত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন। কবির খান লেখেন, ‘ বড় দেরি করে ফেসবুকে এক্টিভ হলেন ভাই। কর্মীগণ মনোবলের দিক দিয়ে আশাহত হয়েছে। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় সবাই উদগ্রীব।’ মো. নুরুজ্জামান লেখেন, ‘যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত আছি ইনশাআল্লাহ’ বকুল হোসেন নামে একজন লেখেন, ‘ভাই আপনার মত সাহসী নেতৃত্ব খুবই প্রয়োজন’।