নাটোর প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুরে ছোটভাই ও বোনের জমি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বড়ভাই ও তিনবোনের বিরুদ্ধে। পিতার মৃত্যুর পর জমি বাটোয়ারার কথা বলতে গেলেই ছোটভাই হান্নানকে মারধর করেন বড়ভাই নজরুল ইসলাম। তারা উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের সাহাপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত নজিরুদ্দিনের সন্তান।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় চলনবিল প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন হান্নান। এসময় তার সৎমা জয়গন বেওয়া (নিঃসন্তান), বিধবা বোন সুমরজান সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি নজরুল তার ভাগিনা আলামিন, লাভলু সহ দলবদ্ধ হয়ে হান্নান ও তার স্ত্রী, শিশু সন্তান, বোন ও বৃদ্ধ মাকে বেধরক মারপিটও করেছেন।
জানা যায়, নজিরুদ্দিনের দুই স্ত্রী, দুই ছেলে ও পাঁচ মেয়ে। মৃত্যুকালে তিনি সাড়ে ৬ বিঘা জমি ও ব্যাংকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা রেখে যান। তার বড় স্ত্রী জরিনা বেওয়া ছিলেন ওই টাকার নমিনী। ৬ বিঘা জমিও রয়েছে বড় স্ত্রীর নামে। সেখানে থেকে দুই মাকে দেখাশোনা ও ভরণপোষনের জন্য হান্নানকে একবিঘা জমি লিখে দেন মা জরিনা। এরপর থেকে শুরু হয় দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব। বড়ভাই নজরুল ও তার তিনবোন রজুফা, রাজেদা, সাজেদা ষড়যন্ত্র করে হান্নান ও তার দুই মা এবং বোন সুমরজান ও মৃত রাজিয়ার সন্তানদেরকে বাপের রেখে যাওয়া সম্পত্তির ভাগ দিচ্ছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে ন্যায় বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী হান্নান অভিযোগ করে বলেন, ‘নজরুল প্রভাবশালী হওয়ায় আমার নিজস্ব জমি দখল করে খাচ্ছেন। তার চাচা আফছার হাজির যোগসাজসে পিতার রেখে যাওয়া জমির দখলও দিচ্ছেন না। উপরন্ত বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। এমনকি আমাকে পরিবারসহ বাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। আমার পক্ষে থাকায় মাকেও কৌশলে উপজেলার জুমাইনগর গ্রামে রাজেদার বাড়িতে রেখেছেন নজরুল।’
অভিযুক্ত নজরুল বলেন, হান্নানের অভিযোগ সত্য নয়। বরং মায়ের কাছে থেকে ২ বিঘা জমি রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছে হান্নান।
স্থানীয় মশিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে শালিসের জন্য তিনবার নোটিশ করলেও নজরুল সহ বিবাদীরা হাজির হননি। তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে উচ্চ আদালতে শরনাপন্ন হওয়ার জন্য হান্নাকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। #