প্রতিমা বিসর্জন ও শোভাযাত্রায় শেষ দুর্গাপূজা

উৎসবমুখর পরিবেশে সারা দেশে বিজয়া দশমী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন মণ্ডপে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেন নারীরা। সিঁদুর খেলার পর আরতি শেষে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। পূজা ঘিরে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

বগুড়া শহরের দত্তবাড়ি, ডালপট্টি, চেলোপাড়া, মালতিনগর, জলেশ্বরীতলাসহ বিভিন্ন এলাকার পূজামণ্ডপে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেন পুণ্যার্থীরা। পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য দিলীপ কুমার দে জানান, জেলায় এবার ৬৩০টি মণ্ডপে দুর্গা পূজার আয়োজন করা হয়।

বরিশালের জগন্নাথ দেব মন্দিরসহ অন্য মন্দিরে সিঁদুর খেলা অনুষ্ঠিত হয়। নগরীতে ৪৫টিসহ জেলায় মোট ৬৪৭টি মন্দিরে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজশাহীতে শেষ হয়েছে প্রতিমা বিসর্জন। সিলেটে বিজয়া দশমী শেষে ভক্তদের উপস্থিতিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব। এবার ৫৯৩টি মণ্ডপে পূজা আয়োজন করা হয়।

ময়মনসিংহে নগরীর দুর্গাবাড়ি মন্দির থেকে বিজয়ার শোভাযাত্রা বের করা হয়। এ সময় সিটি কর্পোরেশনে নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী, পুলিশ সুপার আজিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহফুজুল আলম মাসুম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জেলা পূজা উদযাপক কমিটির সভাপতি রাখাল চন্দ্র সরকার, যুগ্ম সম্পাদক শংকর সাহা উপস্থিত ছিলেন।

হাজীগঞ্জে ২৯টি মণ্ডপে শান্তিপূর্ণ পূজা সম্পন্ন হয়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রুহিদাস বনিক জানান, শান্তিপূর্ণভাবে এবার পূজা পালন করেছি। বান্দরবানে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাৎসব। পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ দাস জানান, এবার জেলায় ৩১টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কালিয়াকৈরে তুরাগ-বংশাই নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। বাঘায় ৪৮টি পূজামণ্ডপ বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব শাহা বলেন, উপজেলায় দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে পূজা বিসর্জনের কাজ শেষ হয়েছে।

জয়পুরহাটে সিঁদুর খেলার পর আরতি শেষে সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। শাহরাস্তিতে চোখের জলে দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দেওয়া হয়। ভোলায় ১০৬টি শারদীয় দুর্গা পূজার বিসর্জন পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। পঞ্চগড়ে জেলার ২৯৯টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গৌরীপুর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন সরকার বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী-প্রশাসন ও সবার সহযোগিতায় আনন্দঘন পরিবেশে এবার পূজা উদযাপন করেছি।

চুয়াডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা, কুমার, চিত্রা, নবগঙ্গাসহ কয়েকটি নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।

বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধি
জামালপুরের বকশীগঞ্জে বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব। প্রতিমা বিসর্জন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, থানা পুলিশ ও বিজিবি , ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে বিজর্সন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
এ উপলক্ষে রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকালে বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার কুড়ি পাড়া ব্রিজের নিচে ৯ টি প্রতিমা, মালিরচর ঘোষ পাড়ায় ২ টি প্রতিমা ও সারমারা এলাকায় একটি প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এসময় সনাতন সম্প্রদায়ের কয়েকশ ভক্ত,পুণ্যার্থী উপস্থিত ছিলেন। বিসর্জনকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা উল হুসনা, বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সিদ্ধেসর সাহা, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রমেশ চন্দ্র রায়, উপজেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সদস্য সচিব শাকিল তালুকদার, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জোবাইদুল ইসলাম শামীম সহ বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সুশৃঙ্খল ভাবে পুজার কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।