বগুড়া প্রতিনিধি:
শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে বগুড়ায় বুধবার দুপুরে শহরের চেলোপাড়ায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পৌর কমিটির আয়োজনে এবং সংগঠনের সভাপতি ব্যবসায়ী নেতা পরিমল প্রসাদ রাজের নিজস্ব উদ্যোগে মহাষষ্ঠীতে ৩ শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে শারদ উৎসবে সকলের হাতে এই নতুন বস্ত্র তুলে দেন বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রীতির বন্ধনে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে বগুড়ার ১২টি উপজেলাতে শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। জেলার ৬২৮ টি পূজামন্ডপে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষে গঠন করা হয়েছে বিশেষ মনিটরিং সেল। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক জেলা পুলিশ, পূজা উদযাপন পরিষদ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের সাথে সমন্বয় করা হচ্ছে যেন যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি শক্ত হাতে মোকাবেলা করা যায়।তিনি আরো বলেন, যেকোন উৎসবেই একে অপরের সাথে সুখ দুঃখ ভাগ করে নেয়ার মাঝেই প্রকৃত আনন্দ লুকায়িত থাকে। আর এক্ষেত্রে প্রতিবছর দুর্জয় ক্লাবের সংশ্লিস্টরা যে আয়োজন করে থাকে তা তিনি ভূয়সী প্রশংসা জানিয়ে আগামীর জন্যে শুভ কামনা জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা পিপিএম। পুলিশ সুপার বলেন, হাজারো বছরের সভ্যতার জেলা পুন্ড্রনগরী খ্যাত এই বগুড়া। উত্তরের প্রাণকেন্দ্র বিবেচনা করা হয় এ জেলাকেই তাইতো বগুড়ায় যেকোনো ধর্মীয় উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে তাদের আন্তরিকতার কোন ত্রুটি থাকে না। শারদীয় দুর্গোৎসব যেহেতু এ জেলায় বাঙালি প্রাণের উৎসব হিসেবে উদযাপিত হয় তাইতো পূজা মন্ডপ এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিধানে তাদের পক্ষ থেকে তারা সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। পোষাকে ও সাদা পোষাকে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। আশা করা যাচ্ছে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় একটি উৎসবমুখর শারদ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে এই বগুড়ায়।
সাংবাদিক সঞ্জু রায়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ, বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ চন্দ্র সরকার, বগুড়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (গোপনীয়) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ, বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মঈনুদ্দিন ও ব্যবসায়ী পরিমলের মা দেয়ন্তি প্রসাদ।
এছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নাজমুল হক, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডেন্টিস্ট সুজিত কুমার তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ জীবন দাস, ব্যবসায়ী রাজু আহম্মেদ, দুর্জয় ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রিপন কুমার, সাংগঠনিক সম্পাদক নীতি রঞ্জন সরকার, রাজীব প্রসাদ, কমল আগারওয়ালা, মানিক দাস, পল্টন দাস প্রমুখ। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষষ্ঠীতে নতুন বস্ত্র পেয়ে উপকারভোগীরা কৃতজ্ঞতা জানান আয়োজকদের প্রতি।