বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়া শহরের খান্দারে বাড়ি থেকে ডেকে হত্যার উদ্দেশ্যে আবু হাসান নামের এক ব্যবসায়ীকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করেছে একদল দুর্বৃত্ত। ছুরিকাঘাতের পরেও না থেমে ভুক্তভোগী হাসানের মাথায় একের পর এক কাঁচের বোতল ভেঙে খান্দার বাজারে এনেও মানহানি ঘটানো হয়েছে তার। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় আবু হাসানকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুই পা আর মাথায় ব্যান্ডেজ দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হলেও ডায়াবেটিস রোগী হওয়ায় অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক বলছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থাতেই হামলার কারণ সম্পর্কে ভুক্তভোগী ইন্টারনেট ব্যবসায়ী আবু হাসানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর আগে খান্দার মালগ্রামের শামীম আহমেদসহ তারা ৬ জন তিন লক্ষ টাকা দিয়ে গণ্ডগ্রামে একটি জমি কিনেছিলেন। পরবর্তীতে জমিটি বিক্রি হলেও তার বিনিয়োগকৃত ৫০ হাজার টাকাও তিনি ফেরত পাননি লভ্যাংশ তো দূরের কথা। সেই পাওনা টাকার বিষয়ে সম্প্রতি আবু হাসান তার এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে দিয়ে হামলার নেপথ্যে প্রধান অভিযুক্ত শামিম আহমেদ কে ফোন করান আর তাতেই রাগান্বিত হয় শামীম। শনিবার সন্ধ্যায় আবু হাসান স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির সামনে চা খেতে গেলে তাকে অভিযুক্ত শামীম ডেকে হুমকি ধামকিসহ জীবননাশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে হাসান মৌখিক প্রতিবাদ করলে তখন বাড়িতে চলে যেতে দিলেও শামীমের নির্দেশনাতেই একদল দুর্বৃত্ত বাড়ি থেকে আবু হাসানকে বের করে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতসহ তার মাথায় বেশ কয়েকটি কাঁচের বোতল ভেঙে খান্দারে বাজারে এনে প্রকাশ্যে আহত অবস্থাতেই হাসানকে মানহানি ঘটান অভিযুক্ত শামীম আহমেদসহ তার সহযোগীরা।
আহত হাসানের স্ত্রী নুসরাত জামান তানিয়া বলেন, তার স্বামী কখনো কারো সাথে দ্বন্দ্বে জড়ানোর মানুষই নয়। ইন্টারনেট ব্যবসা করে তারা এমনিতেই সুখী জীবন যাপন করছেন। অভিযুক্ত শামীম আহমেদ সুপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে তার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ছরিকাঘাত করে আজ তার স্বামীর জীবন সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। এই হামলার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন তিনি।
এদিকে এ প্রসঙ্গে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, এ বিষয়ে তারা ইতিমধ্যেই অবগত হয়েছেন এবং হাসপাতলে আহত ব্যবসায়ীকে তারা পর্যবেক্ষণ রেখেছেন। তবে এখনো তারা কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলেই যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন মর্মে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।