নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,যারা শেখ হাসিনা কে আশ্রয় দিচ্ছেন তারা যদি তার কথা শুনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কিছু করতে যান, অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করেন তাহলে আখেরে ভালো হবে না। বাংলাদেশ নেপাল বা ভুটান নয়। পার্শ্ববর্তী দেশের পলিসি মেকার, নীতিনির্ধারক যারা তাদেরকে বলে রাখতে চাই- বাংলাদেশ ১৮ কোটি মানুষের দেশ। গত ১৫-১৬ বছর ধরে আমাদের নেতাকর্মীদের খুন-গুম-নির্যাতন করা হয়েছে। তারপর ৫ আগস্ট আমাদের বিজয় অর্জন হয়েছে। সব দলের অংশগ্রহণে আমরা স্বাধীন হয়েছি। গতকাল রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে রাজশাহী মহানগর ও জেলায় শহীদ পরিবারের সঙ্গে ভুবন মোহন পার্কে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির তিনি একথা বলেন। রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে শেখ হাসিনা হাজার হাজার টাকা উন্নয়নের নামে ঋণ নিয়ে লোপাটের চিত্র তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন,ঘনিষ্ঠজনদের দিয়ে শেখ হাসিনা কালো টাকা আয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন বিদেশে সেই টাকা রেখে আসার জন্য। বিপদে পড়লে যেন তিনি নিতে পারেন। যারা তার পক্ষে ছিল তাদের তিনি অবাধে লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ড. ইউনুসের অর্ন্তর্বতীকালীন সরকারে ফ্যাসিবাদের দোসর রেখে সংস্কার সফল হবে না। এই বিষয়টি ড. ইউনুস কে স্মরণ রাখতে হবে। রিজভী বলেন, এই সরকার অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করলেও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। এগুলো এখনো যুবলীগ ছাত্রলীগের কাছে আছে। এই অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। না হলে আবার অস্থিতিশীলতা তৈরি করা হবে। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন,রাজশাহী মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ মামুন প্রমুখ। সমাবেশের শেষে তিনি শহীদ পরিবার ও আহতদের মাঝে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী তুলে দেন।#