মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের সাবেক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, বিপি নং-৭৯০৬১১১১৪৩ (বর্তমান এসপি, কুষ্টিয়া জেলা) ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়বিচার প্রার্থনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ এর সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন- জে পি এল ডোর এন্ড ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রিজ ও জালালাবাদ প্রোডাক্টস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: সাইফুল ইসলাম সজীব। গত ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি এ অভিযোগ দায়ের করেন। বিগত ২০১১ সালে মৌলভীবাজার জেলার সাবেক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন ও ডাক্তার রাজিয়া সুলতানার সাথে পরিচয়ের একপর্যায়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (জে পি এল ডোর এন্ড ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রিজ) হইতে লোন বাবদ ২০ লক্ষ টাকা, বাকিতে ফার্নিচার, গাড়ী ক্রয়সহ অন্যান্য বাবত ৭ লক্ষ ৮৫ হাজার ৭০০ টাকাসহ সর্বমোট মোট ২৭ লক্ষ ৮৫ হাজার ৭০০ টাকা নেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সমুদয় টাকাগুলো পরিশোধ করার জন্য সাইফুল ইসলাম সজীব অনুরোধ করলে আলমগীর হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। প্রতিশোধ নিতে কোন মামলা মোকদ্দমা ব্যতিরেকে বিগত ০৭/০৮/২০১২ইং ব্যবসায়ী সজিবকে তুলে নিয়ে যান। ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে সজিব এর বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে ৩ টি মামলা দায়ের করেন। মৌলভীবাজার থানার মামলা নং ১০(৮)২০১২ইং, মৌলভীবাজার থানার মামলা নং ১১(৮) ২০১২ইং মৌলভীবাজার থানার মামলা নং ১২(৮)২০১২ইং, (মৌলভীবাজার থানার মামলা নং ১৬(৮)১৪/জি আর ২০১/১৪ সদর। বিভাগীয় মামলায় সাক্ষী দিতে গেলে উক্ত দিনে অত্র মামলাটি দায়ের করেন এবং এর পেছনে তৎকালীন চিফ হুইপ, সাবেক কৃষিমন্ত্রী, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ ও তার ছোট ভাই মোসাদ্দেক হোসেন মানিক এর সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন। উক্ত সাজানো মামলার বাদী আলমগীর হোসেনের খালাতো ভাই সোহেল রানা, ডা: রাজিয়া সুলতানা এবং বডিগার্ড নাজিম উদ্দিনকে দিয়ে মিথ্যা মামলায় জেলে আটক রেখে দিনের পর দিন অমানবিক নির্যাতন ও জেলের মাধ্যমে তার শত শত শ্রমিকের কর্মস্থল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়। এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম সজিব বিগত ২৮/১১/২০১২ইং তারিখ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দপ্তরে আলাদা ২টি অভিযোগ দায়ের করেনে। পুলিশের দীর্ঘ তদন্ত শেষে সাবেক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, বিপি নং-৭৯০৬১১১১৪৩ এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা (স্মারক নং-কর্ম কমিশন সচিবালয় – ৮০.১০৬.০৩৪.০১.০০.০০৫.২০১৫.১৩৩ তারিখ: ২১/১০/২০১৫ খ্রি:। স্মারক নং- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় – ৪৪.০০.০০০০.০৯৪.০২.৫৬.১৩-৮৮১/১ তারিখ: ১৯/০৯/২০১৩ খ্রি:। স্মারক নং-পুলিশ সদর দপ্তর -দ: শৃ:/৬৫-২০১৩/১১৬৪ তারিখ: ২০/১০/২০১৪ খ্রি:। স্মারক নং- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-৪৪.০০.০০০০.০৯৪.০২.০৫৬.১৩-৩৪৫ তারিখ: ১৬/০৪/২০১৫ খ্রি:। রিট পিটিশন মামলা নং ২৯৬৩/২০১৪ তারিখ: ১৩/০৪/১০১৪ খ্রি:। স্মারক নং -সেল/০৭-২০১২(মৌলভীবাজার)/৮৮৭ (২), তারিখ- ২৮/১১/২০১২ খ্রি:। স্মারক নং- ০৭-২০১২ (মৌলভীবাজার)/৯৩০(২)তারিখ- ২০/১২/২০১২ খ্রি:। স্মারক নং- সেল- ০৭-২০১২ (মৌলভীবাজার)/১২(২)তারিখ- ১৩/০১/২০১৩ খ্রি:।) রুজু করা হয়। উক্ত বিভাগীয় মামলায় বিগত ১৬/০৪/২০১৫ ইং তারিখ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ১৯৮৫ এর ৭(৬)এবং ৪(৩)(ডি) বিধি মোতাবেক “চাকুরী হতে বরখাস্ত””(Dismisal from service) গুরুদন্ড প্রদান পূর্বক পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতামত চান। বিগত ২১/১০/২০১৫ ইং তারিখ পাবলিক সার্ভিস কমিশন তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ১৯৮৫ এর ৪(৩)(ডি) বিধি মোতাবেক “চাকুরী হতে বরখাস্ত “”(Dismisal from service) গুরুদন্ড প্রদানের বিষয় মতামত দেন। বিষয়টি তখন দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ হয়। দীর্ঘ তদন্ত হয়, পুলিশ সদর দপ্তর সিকিউরিটি সেল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ সকল প্রতিষ্ঠানের সম্মতিতে এই দন্ড প্রদান করার পরও শুধুমাত্র ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আবারও চাকুরীতে পুনর্বহাল হয়ে ২টি পদোন্নতি নিয়ে দাপটের কর্মরত থাকেন। ব্যবসায়ী মো: সাইফুল ইসলাম সজীব অভিযোগে আরো বলেন- তিনি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকাকালে থানার ভিতরে এক মহিলার সাথে খারাপ আচরনে লিপ্ত হন। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উক্ত মহিলার স্বামী ইমনকে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। থানার ভিতর কলম দিয়ে খুঁচিয়ে চোখ অন্ধ করে ফেলাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।