মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার ১নং খলিলপুর ইউনিয়নের পংমধপুর গ্রামে জনসম্মুখে রেদুয়ান-কে গুলি করে হত্যা কান্ডসহ অন্যান্য অপরাধের সাথে জড়িতরা প্রকাশ্য এলাকায় ঘুরা-ফেরা করে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। এ ঘটনায় হত্যাকারীসহ জড়িত সকল এজাহার নামীয় আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে শহরের ওয়েস্টার্ন রেস্টুরেন্টে হল রুমে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারে পক্ষে ফয়ছল আহমদ। লিখিত বক্তব্য তিনি জানান- গত ২৮ জুলাই সকাল অনুমান ৭ ঘটিকার দিকে, একই গ্রামের বাসিন্দা লেফাস মিয়ার হুকুমে আকবর, লিয়াকত, মুকিদ, আকমান, সায়েক, জয়তুন, জমশেদ, মিছিল, ছুফি, সুমন, ছায়াদ ও জাবেদসহ প্রায় শতাধিক লোক একত্রিত হয়ে রেদুয়ান-এর বাড়ীতে হামলা চালায়। এ সময় রেদুয়ান-কে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে সে ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ সময় হাল্লা চিৎকার শুনে অন্যান্য লোকজন বাঁচাতে এগিয়ে আসা মাত্রই তাদের লক্ষ করে গুলি ছুড়া হয়। এ সময় লেফাস এর হাতে থাকা বন্দুক দিয়ে গুলি করে মৌ বেগমের পায়ে এবং আকমান নামের একজন-কে তার বুকে গুলি করে। হাসিদ মিয়া নামক একজন-কে গুলি এবং ছুলফির আঘাতে তার একটি পা কেটে ফেলা হয়। বুকে গুলির আঘাতে হোসেন নামের একজন মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তার বুক থেকে গুলি বের করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন এবং সে পরবর্তীতে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসা করান। এসব ঘটনায় নিহত রেদুয়ান এর মা রেশনা বেগম মৌলভীবাজার মডেল থানায় বাদী হয়ে- আকবর হোসেন (৫৫),লেফাছ মিয়া (৩৫), আকমান মিয়া (৩৯), মহসিন মিয়া (২৮), লিয়াকত মিয়া (৪৪), মুকিত মিয়া (৫০), সায়েক মিয়া (৪৫), জয়তুন মিয়া (৫০), জাবেদ আলী (৩০), সুমন মিয়া (২৬), ছায়েদ মিয়া (৫০), জমশেদ মিয়া (৬০), জাবেদ মিয়া (২৭), সোহেল মিয়া (৩৫), ফয়সল মিয়া (৩২), এমরান মিয়া (২২), হুমায়ুন আহমদ (২৬), সুফি মিয়া (৬০), মিছিল মিয়া (৩৫), লেফাছ মিয়া (৬০), ফুলকাছ মিয়া (৫০), ছিকন মিয়া (৪৫), ডালিম মিয়া (৫৫),কালাম মিয়া (৬০), রিপন মিয়া (৪৫), রাসেল মিয়া (৩৫), আফজল মিয়া (২৮), আনই মিয়া (৩৫), শ্যামল মিয়া (৩৭), এনামুল মিয়া (৩০),আহাদ মিয়া (৫০), জামাল মিয়া (৩৫), রাজিব মিয়া (৩৭), জাহেদ মিয়া (২৮), সাহেদ মিয়া (২২), জাহাঙ্গীর মিয়া (২৮), সাইদুল মিয়া (৩৫),সামছুল হক (৩৫),আইনুল হক (২৮), সেলু মিয়া (৩৫), লিলু মিয়া (৫০), নুরুল হক (২৭), কালাই মিয়া (৩৬), রুপালী মিয়া (৬০), হাসান মিয়া (২২), জমির মিয়া (৩৫), কাওছার মিয়া (৩৫), কাদির মিয়া (৬০), শাহান মিয়া (২৮), জুয়েল মিয়া (২৮), দিলাবর মিয়া (৫৫), জয়নাল মিয়া (২৫), সুন্দর মিয়া (৬০),জসিম মিয়া (৩৫),সাকিন মিয়া (২০), রায়হান মিয়া (১৯), ইমন মিয়া (১৯),মতিন মিয়া (৫৫), শাহিন মিয়া (২২),আশিক মিয়া (৫৫), কালা মিয়া (৩৫), তাজেল মিয়া (২৫), নুর আহমদ (২২), ছালেহ আহমদ (২৫), জাহেদ মিয়া (২১),উজ্জল মিয়া (২০), রাহেল মিয়া (১৯), তার মিয়া (৫০), শাবনাজ মিয়া (১৯), আমির উদ্দিন (৪৫),সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনকে আসামী করে মামলা (মামলা নং-৩৯/২১৫, তারিখ : ৩০/০৭/২০২৪ইং) দায়ের করেন। মামলার বাদী অভিযোগ করেন- দায়েরকৃত মামলায় ৫-৬জন লোক জেল হাজতে রয়েছে। কিন্তু হত্যা মামলার প্রধান আসামী আকবর এবং আকমান দুবাই ও সৌদিতে অবস্থান করছেন। বিদেশে থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে এখনো হুমকি-দামকি দিচ্ছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে এজাহার নামীয় আসামী মুকিদ মিয়া, ছুফি মিয়া, জাবেদ মিয়া, লেফাস, লিয়াকত, ছায়াদ, জমশেদগংরা উক্ত মামলা তুলে নেয়ার জন্য পুনরায় হুমকি প্রদান করে। হুমকির বিষটি মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-কে ফোনে অবগত করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু করতে পারবেন না বলে ফোন কেটে দেন। একই ভাবে সংশ্লিষ্ট শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই নিয়াজ মোহাম্মদ শরিফ-কে জানালেও তিনি কোন আইনী প্রদক্ষেপ গ্রহন করেন নি। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করে বলেন- হত্যাকারীদের কাছে এখনও অস্ত্র আছে। প্রশাসন আমাদের সাহায্য না করে,হত্যাকান্ড ঘটনার মৌন সম্মতি জানাচ্ছেন বলে আমরা মনে করি। সেখানে বিচার কোথায় কার কাছে চাইব ? গ্রামের আরো একাধিক ভুক্তভোগী আছেন। তাদের সাথেও লেফাস মিয়াগংরা একাধিক ভাবে উক্ত পরিবারকে নির্যাতন ও জুলুম করেছেন। সেই অস্ত্র উদ্ধার করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানান। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মো: ফয়সল আহমদ, খালেদ মিয়া, হাজী আনর মিয়া, আছকর মিয়া, ফারুক মিয়া, ফখরুল মিয়া, হুসেন মিয়া, আসিদ মিয়া, নৌশা মিয়া, আলাদ মিয়া, মাসুম মিয়া, ইয়ারুপ মিয়া, রিপন মিয়া, সুমন মিয়া, ছালেহ মিয়া, ফাহিম মিয়া, রেশনা বেগম, রাজনা বেগম, নারজানা বেগম ও মিনা বেগম প্রমুখ।