ঈশ্বরদীতে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা:
ঈশ্বরদীতে টানা কয়েক দিনের তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিং। প্রচণ্ড গরমের সাধারণ ও কর্মজীবী মানুষেরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। তাপমাত্রা নজনিত কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রখর রোদ ও তীব্র তাপমাত্রার কারণে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছেন চরম বিপাকে। বিশেষ করে তীব্র রোদের তাপের কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক, ঠেলা ও ভ্যানচালকরা কাজ করতে পারছেন না। ফলে তীব্র তাপদাহে অনেকে অলস সময়ও পার করতে দেখা গেছে। আবার অনেকেই জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন।
 আশ্বিনের তীব্র গরমে বয়স্ক, শিশুরা পড়েছে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে। একটু স্বস্তি পেতে ঠান্ডা শরবত, পানি, আইসক্রিম খেয়ে তৃষ্ণা মেটানোর চেষ্টা সাধারণ মানুষের। গত কয়েক দিনে উপজেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গড়ে ৩৭.২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জীব-বৈচিত্র্যের ওপর। এমন প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে ফুলবাড়ীবাসীর।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় উপজেলা জুড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি বাতাসে জলীয় বাষ্পের  পরিমাণ সন্ধ্যায় বেড়ে ৮২ শতাংশ হয়েছে।  আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, বাতাসে আদ্রতা বেড়ে ৮২ ভাগ হওয়ায় তীব্র গড়ম অনুভূত হচ্ছে।
এতে করে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। একটু শীতলতার জন্য শিশু-কিশোর সবাই পুকুর-নদী-বিল ও সেচের পাতিতে গোসল করতে দেখা গেছে । অসহনীয় প্রচণ্ড গরমে গ্রামাঞ্চল কিংবা শহরে শিশু, বয়স্কদের জ্বর-সর্দি- ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। তাপের কারণে নানা বয়সীদের দেখা দিয়েছে চর্ম রোগও।
 দিন মজুর আলী হোসেন জানান, আমরা গরীব মানুষ। একদিন কাজ না করলে আমাদের ভাত জোটে না। তাই তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজ যাই। আজকের রোদ ও তাপদাহটা অনেক বেশি যার কারণে কাজে যাননি তিনি।
গৃহিণী শাপলা খাতুন বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়েছে। সেইসাথে ঘন ঘন লোডশেডিং এ ছোট বাচ্চা নিয়ে খুবই সমস্যায় আছি। ঘরের মধ্যে গরমে থাকা যায় না। বাচ্চার জ্বর-সর্দিতে ভুগছে।
 বাজারের ভ্যান চালক জহুরুল ইসলাম,  আশ্বিনের এগড়মে  যে তাপ উঠছে ভ্যান নিয়ে পাকা রাস্তায় বের হওয়া যাচ্ছে না। গরমের মধ্যে ভাড়াও কমে গেছে। জানি না এ রকম প্রখর রোদ আর কত দিন থাকবে।
শিশু চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল বাতেন জানান, শিশু, বয়স্কদের জ্বর-সর্দি- ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। কারও কারও শরীরের চামড়ায় র্যাশ বের হচ্ছে।