সাঁথিয়া প্রতিনিধি:
পাবনার সাঁথিয়ায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে পাল্টা পাল্টি প্রাণ নাশের হুমকী দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাযায় পাওয়ানা টাকা চাওয়ায় মনোয়ার পারভেজ মানিককে প্রাণ নাশের হুমকি দেবার অভিযোগ করেন রসুলপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সায়েম রেজার বিরুদ্ধে। গত ৩ সেপ্টেম্বর সায়েম রেজার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মানিক।
একই ভাবে গত ৬ সেপ্টম্বর মানিকের বিরুদ্ধে প্রাণ নাশের হুমকীর অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী সায়েম রেজার স্ত্রী লিপি খন্দকার।
এদিকে প্রাণ নাশের হুমকী ও ১০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ধার দেয়া বিষয়ে সায়েম রেজা জানান, মনোয়ার পারভেজ মানিক লিগ্যাল নোটিশে, চেয়ারম্যানের নিকট ও আদালতে দেয়া অভিযোগে দাবি করেছেন ব্যবসায়ী কারণে সে আমার নিকট টাকা পান। আবার থানায় অভিযোগে তিনি লেখেছেন ধার দেওয়া টাকা ফেরৎ দিচ্ছি না। তাহলে একই ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন কারণ দেখিয়ে আমার নিকট টাকা দাবি করে আসছে। প্রকৃত পক্ষে মানিক আমার নিকট কোন টাকা পান না এমনকি প্রাণ নাশের হুমকীর বিষয়টি মিথ্যা ও বনোয়াট।
অপর দিকে মনোয়ার পারভেজ মানিকের করা পাবনা সিনিযর জুডিশিযাল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদারত-৫ এ পিটিশন মামলার নং ৩৭/২০২২। তারিখ ১১ মে ২০২২। ধারা ৪০৬/৪২০। আদালতে পিটিশন মামলার প্রেরিত প্রতিবেদনে সাঁথিয়া থানার এসআই আব্দুর রউফ উল্লেখ করেন সায়েম রেজার সাথে মানিক মীর আক্তার গ্রুপে মাটি, বালির ব্যবসা করতেন। মানিক সে ব্যাবয়ী বাবদ সায়েমের নিকট ১০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পান। বাদী মানিকের দেয়া স্বাক্ষীরা জানান, মনোযার পারভেজ মানিক কে তারা চেনেন না। এমন কী তাদের ব্যবসা সম্পর্কে তারা জানেন না। প্রতিবেদনে আ: রউফ আরো উল্লেখ করেন মানিকের নিকট থেকে ১০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার লোকাল বালু বাকীতে ক্রয় পেনাল কোড আইনের ৪০৬/৪২০ ধারার অপরাধ প্রাথমিক তদন্তে অসত্য প্রমানিত হয়। প্রতিবেদনে এ মামলা থেকে সায়েম রেজাকে অব্যাহতি প্রদানে অনুরোধ করা হয়। আদালত পরবর্তীতে মামলাটি খরিজ করে দেন।
সাঁথিয়া থানার ওসি আনোযার হোসেন জানান, দুই পক্ষই পাল্টা পাল্টি অবিযোগ করেছে। তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।