শুক্রবার পশ্চিম তীরে অবৈধ ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন তুর্কি-মার্কিন তরুণী আয়েশেনুর এজগি আইগি। ইসরাইলি সেনার গুলিতে নিহত হন তিনি। ময়নাতদন্তে আয়েশেনুরের মরদেহে ইসরাইলি স্নাইপারের গুলির প্রমাণ পাওয়া পাওয়া গেছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের নৃশংস সামরিক অভিযানে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। হামাসের হাতে জিম্মি মার্কিন নাগরিক মৃত্যুতে কঠোর বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে মার্কিন প্রশাসন।
কিন্তু এবার নিজদেশের নাগরিককেই ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইল। এতে বিপাকে পড়েছে হোয়াইট হাউজ। প্রশ্নের মুখে পড়েছে মার্কিন নীতি। আয়েশেনুরে হত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে বিচার দাবি করেছে তার পরিবার।
আয়েশেনুরের পরিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরাইলি সামরিক বাহিনী, আমাদের জীবন থেকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে, বেআইনিভাবে এবং সহিংসভাবে ওকে কেড়ে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই নাগরিককে
অবৈধ ভাবে হত্যার ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে এবং দোষীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আদেশ দেওয়ার জন্য আমরা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি’।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, আয়েশেনুরকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এছাড়া তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আয়েশেনুরকে মাথায় গুলি করে মারা হয়েছে। তার মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার দায়ী।
২৬ বছর বয়সি আয়েশেনুর যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের বাসিন্দা। সম্প্রতি ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি ফিলিস্তিনি পক্ষের একজন কর্মীও। যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে তার।