মুক্তিপণের জন্য ঈশ্বরদীতে সিরাজ ফকির হত্যার আসামী গ্রেফতার

// ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
মুক্তিপণের দাবিতে ঈশ্বরদীতে সিরাজুল ইসলাম ফকির (৬৫) নামের বৃদ্ধকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনার মূল আসামী শাজাহান (২৯) কে শনিবার (৩১ আগস্ট) গভীর রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। হত্যকারী শাজাহান ঈশ্বরদী থানার বরইচারা গ্রামের আজিবর রহমানের পুত্র বলে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে ঈশ্বরদী থানা জানায়, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত বাদীর আল আমিনের বাবা নিহত সিরাজুল ইসলাম গত ২৪ আগস্ট নাইট ডিউটি করে সকালে রূপপুর মোড় থেকে ইজিবাইক যোগে ঈশ্বরদী বাজার অভিমুখে রওনা হয়। দুপুরে বাড়িতে না ফেরায় বাড়ির লোকজনের চিন্তা হয়। এরইমধ্যে দুপুর ২.১৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ সিরাজুলের মোবাইল ফোন থেকে পুত্র আল আমিনকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, তার পিতাকে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে আটকে রাখা হয়েছে। মুক্তিপণ বাবদ দশ লাখ টাকা দাবি করে বলা হয় সোমবারের মধ্যে টাকা দিতে হবে। এরপর আল আমিন পিতার ফোন বন্ধ পায়। গত ২৬ আগস্ট সকালে অপহরণকারী পুনরায় ফোন করে জানতে চায় টাকার ব্যবস্থা হয়েছে কি-না ? অপহরণকারী ব্যক্তির কথা মতো আল আমিন দাশুড়িয়া যায় এবং ওই ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়। আল আমিনকে ওইদিন একাধিকবার ফোন করা হয়। আল আমিন অপহরণকারীকে একপর্যায়ে বলেন, তার পিতার সাথে ফোনে কথা বলিয়ে দিলে টাকা দিবে। তখন অপহরণকারী ব্যক্তি বাদীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে। খোঁজাখুজি করে বাবার খোঁজ না পেয়ে ২৬ আগস্ট থানায় সাধারন ডায়েরী করে।

পুলিশের সহায়তায় খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ৩১ আগস্ট শনিবার দুপুর ১:৪০ ঘটিকার সময় ঈশ্বরদী পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ড রহিমপুর গোরস্থানের উত্তরপাশে জনৈক শরিফুজ্জামান বুলবুল (৫০) এর চার তলা ভবনের ৪র্থ তলার ফ্লাটের দক্ষিণ-পূর্ব কর্নারের রুম সংযুক্ত বাথরুমের মধ্যে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার হয়। এসময় সিরাজুল ইসলামকে নাইলনের রশি দ্বারা হাত-পা বাঁধা, আঘাতে মুখমন্ডল থ্যাতলানো ও সাদা কচটেপ দ্বারা পেঁচানো, গলায় নাইলনের রশি এবং ওড়না দ্বারা পেঁচানো অর্ধগলিত মৃত দেহের গায়ে গোল গলা সাদা গেঞ্জি, উলঙ্গ মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এঘটনায় পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত মুল আসামী শাজাহান (২৯)কে বড়ইচারা তেঁতুলতলা এলাকা হইতে গ্রেফতার করে।