// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে জন বসতিপূর্ণ এলাকায় ওষুধ কোম্পানী খুলে পরিবেশ দূষণের প্রতিবাদ করায় গ্রামবাসীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে এবং ভেজাল ওষুধ তৈরি বন্ধসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার গড়মাটি গ্রামে এ মানববন্ধনে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। মানববন্ধনকালে ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান সেন্টু ও রওশন আলম, আম্বিয়া বেগম ও তানিয়া বেগম, ওষুধ কোম্পানীর কর্মী জাহিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, কয়েক বছর আগে গড়মাটি গ্রামে আবাসিক এলাকায় জনৈক মোজাফফর হোসেন মেসার্স জেনি আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরিজ নামে একটি ওষুধ কারখানা চালু করেন। তিনি এ কারখানার বর্জ্য ও দূষিত পানি ফেলে আশেপাশের পরিবেশ দূষণ করেন। এখানে ইতিপূর্বে র্যাব অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ জব্দ করাসহ কারখানা সিলগালা করে দেয়। কিন্তু কিছুদিন পর তারা পুনরায় কারখানা চালু করেন। গ্রামবাসী পরিবেশ দূষণ ও যৌন উত্তেজকসহ নকল ওষুধ তৈরির প্রতিবাদ করলে মোজাফ্ফর হোসেন ছিনতাই, মাছ চুরি ইভটিজিংসহ নানা কল্পিত অভিযোগে গ্রামের দুই শতাধিক নিরীহ মানুষের নামে ৮টি মামলা করেন। এমনকি ষাটোর্দ্ধ দুই আপন ভাই ও তাদের মামার নামে ইভটিজিংয়ের মামলা দিয়ে হয়রানী করেন। তার মামলা থেকে প্রবাসীরাও রেহাই পায়নি। এছাড়া কোম্পানীতে কর্মী নিয়োগের সময় ফাঁকা চেক নিয়ে পরে ইচ্ছামত টাকার অঙ্ক বসিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানী করেন। এসব মামলা চালাতে গিয়ে গ্রামের নিরীহ মানুষের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তারা অবিলম্বে এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং মামলাবাজ মোজাফ্ফরসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও নকল ওষুধ তৈরির কারখানা বন্ধের দাবি জানান। অন্যথায় আগামীতে আরো বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়ার হুমকি দেন তারা।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মোজাফ্ফর হোসেনের মোবাইলে কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তারা জামাতা আবু জাফর এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গ্রামের কিছু লোক আমাদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেয়ায় তারা তারা এ মানববন্ধন করেছে বলে দাবি করেন তিনি।