// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার : মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং- ৯৭৭৮ মামলা করেও শেষ রক্ষা করতে পারছেন না ইজারাদার মনাই মিয়া। মহামান্য হাইকোর্টে মামলা চলমান অবগত হওয়ার পরও তড়িঘড়ি করে অবৈধ সুবিধাভোগী একটি প্রভাবশালীচক্র প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তা ও ব্যক্তিদের সাথে হাত মিলিয়ে মৌলভীবাজার সদর, মৌজা : কামালপুর, খতিয়ান : ২৪৭, জে.এল,নং- ৪৯, দাগ নং-১৩২২,১৩২৩,১৩২৪, ১৩২৫-এই ভূমির উপর উত্তোলিত বালি নিয়ে যাচ্ছে। মহামান্য হাইকোর্টে মামলা চলমান অবগত হওয়ার পরও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ভুক্তভোগী ইজারাদার মনাই মিয়া মৌলভীবাজার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ সংবাদ পরিবেশন পর্যন্ত উত্তোলিত বালু নেয়া বন্দ করতে পারেনি প্রশাসন। মৌলভীবাজার সদর উপজেলা ভূমি অফিস, তহশিলদার নানকার, তহশিল অফিস, কামালপুর বাজার, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর এর অতি উৎসাহি কার্যক্রমে হতভাগ বৈধ ইজারাদারগণ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুর রহমান ও মনাই মিয়া জানান- বালু মহাল এর স্তূপীকৃত ৭,৫০,০০০/- (সাত লক্ষ পঞ্চাশ হাজার ) ঘনফুট বালির মধ্যে ৬০ হাজার ঘনফুট বালি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক জব্দ, তরিগরি করে- ১০/০৬/২০২৪ইং, নিলাম বিজ্ঞপ্তি ও একদিনের ব্যবধান রেখে অর্থাৎ- ১৩/০৬/২০২৪ইং নিলাম প্রদান করেন। ঐ নিলাম প্রদান কারী ব্যক্তিকে নিলামের নির্ধারিত তারিখের পর উক্ত স্থানে বালু রাখা যাবে না, অথবা আর কোন সময় প্রদান করা হবেনা মর্মে শর্ত সাপেক্ষে ১৫দিন সময় বেঁধে দেন। কিন্তুু বালি বিক্রিকারী পক্ষদের বালি বিক্রির সুবিধার্তে (সহকারী কমিশনার ভূমি, মৌলভীবাজার- নং-৮১৩ স্বারকে প্রায় আড়াই মাস অর্থাঃ ১৫/০৮/২০২৪ইং, ও পরবর্তীতে নিয়ম ও শর্ত ভঙ্গ করে সুবিধাভোগীদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৌখিক ভাবে ৩ বার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিষয়টি মহামান্য হাইকোর্টে চলমান। মামলা চলমান অবস্থায় একটি পক্ষ ঐ বালি বিক্রি করছে। তিনি আরো জানান- মনু নদীর সংযোগ কুশিয়ারা নদী হইতে শেরপুর নামক স্থানে অবৈধ ভাবে অ-ইজারাকৃত ও অবৈধ ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে জনৈক ব্যক্তিগণ বালি উত্তোলন করে শেরপুর অক্য্রি ঘাট,মাছের বাজার, শেরপুর ব্রীজের নিচে, নতুন বস্তি এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বালি বিক্রয় করা হতো। এ বিষয়ে বৈধ ইজারাদারগণ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এসব বিষয়ে সুবিধাভোগীগণ ও স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস নানকার, কামালপুর তহসিলদার, সহকারী তহসিলদার জেলা প্রশাসক কার্যালয় এর কিছু লোক ক্ষুব্ধ ছিলেন। অবৈধ সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে যোগাযোগীমূলে এখন আমাদের বৈধ বালি অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড.উর্মি বিনতে সালাম বলেন- সরকারী কাজে সিলেট অবস্থান করছি। বিষয়টি আমি গুরুত্বসহকারে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।