সুন্দরগঞ্জে ৪০ বছরে উদ্ধার হয়নি ৩৩০ ফুট সরকারি রাস্তা 

// হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ 

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৩৩০ ফুট সরকারি রাস্তা প্রায় ৪০ বছর ধরে জবরদখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী একটি মহলের বিরুদ্ধে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তাটি পুনরুদ্ধারের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও দখলমুক্ত হয়নি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার উপজেলা সড়কের কলেজ মোড় থেকে ৬২.৫ ফুট পশ্চিমে ৩৩০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং গড়ে ১৫ ফুট প্রস্থ ০১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারী রাস্তাটি সৈয়দ জহুরুল হক ও সৈয়দ শামস উদ্দিন এবং সাধন কুমার ত্রিবেদী দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে জবরদখল করে রেখেছেন। এতে সুন্দরগঞ্জ পৌরভবনের পার্শ্ববর্তী ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বৈরাগীপাড়ার ২৫টি পরিবারের লোকজনসহ প্রায় ৩ হাজার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। এছাড়াও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরে যাতায়াতে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, রাস্তাটি পুনরুদ্ধারে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোন সুরাহা হয়নি। এছাড়া পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২০২২ সালের ২৩ জুন পৌরসভার সার্ভেয়ার ও ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার রাস্তাটি মাপযোগ করে সীমানা নির্ধারণ করেন। পরে সংশ্লিষ্টদের অবৈধ স্থাপনা ও গাছপালা জরুরি ভিত্তিতে অপসারণের নির্দেশ দেন।

তৎকালীন সময়ে সংশ্লিষ্টরা ২০২২ সালের ১৫ জুলাই তারিখের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা ও গাছপালা স্ব-উদ্যোগে অপসারণ করবেন মর্মে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে সময় চেয়ে আবেদন করেন। অদ্যাবধি সরকারি রাস্তা থেকে অবৈধ স্থাপনা ও গাছপালা অপসারণ না করে জবরদখলকারীরা ভোগ দখল করে আসছেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, বাড়ির সামনে রাস্তা না থাকার কারণে আমরা পড়েছি বিপাকে। আমাদের পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে নিয়ে যেতে হয় কাঁধে করে। পাশেই সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের একটি মন্দির রয়েছে। সেখানে যাতায়াতে রাস্তা না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের।

বৈরাগীপাড়ার বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘৪০ বছর ধরে দখলে রাখা সরকারি রাস্তাটি পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়ার পরে রাস্তাটি উদ্ধার করা হয়নি। এবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে রাস্তাটি পুনরুদ্ধারে আবেদন করা হয়েছে।’

সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুর রশীদ রেজা সরকার ডাবলু বলেন, রাস্তাটি উদ্ধারের জন্য ইতোপূর্বে জবরদখলকারীদের নোটিশ দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। খুব তারাতারি রাস্তাটি পুনরুদ্ধার করে যাতায়াতের উপযোগী করা হবে।

এবিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি পুনরুদ্ধার করার জন্য একটি আবেদন পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।