// সঞ্জু রায়, বগুড়া:
হত্যা ও ডাকাতির মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মো: সোহেল নামের পলাতক এক আসামিকে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে এক প্রভাষককে ডাকাতির পর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবনের সাজা মাথায় নিয়ে যে পালিয়ে ছিলেন বগুড়ায় অবশেষে তার পলাতক জীবনের অবসান ঘটিয়েছে র্যাবের আভিযানিক দল।
র্যাব-১২ ও র্যাব-২, মোহাম্মদপুর এর যৌথ অভিযানে রোববার বিকেলে জেলার সোনাতলা থানাধীন কলেজ স্টেশনের সামনে থেকে ৩০ বছর বয়সী সোহেল কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সোহেল জয়পুরহাট জেলার পাচঁবিবি উপজেলার জোড়া এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
রবিবার বিকেলে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিং এ এসব তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন পাঁচবিবি থানার একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামি বগুড়া জেলার সোনাতলা থানা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতেই সোনাতলা কলেজ স্টেশনের সামনে অভিযান পরিচালনা করে সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার গোবিন্দগঞ্জের প্রভাষক আলী হাসান বাবু যিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার পাইকর দড়িয়া গ্রামস্থ ইটের দরগা নামক স্থানে স্টক ব্যবসা করতেন। গত ২০০৯ সালের ১৮ই জুন যথারীতি ব্যবসায়িক কাজ শেষে বাসা যাওয়ার পথে রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় কাকরা ব্রিজ নামক স্থানে দুস্কৃতিকারী আসামীগণ পূর্বপরিকল্পিতভাবে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে রাস্তায় রশি দ্বারা ভিকটিমের পথ আটকিয়ে তার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয় এবং ভিকটিমকে গলায় রশি পেঁচিয়ে মারপিটসহ নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে নিহতের মৃতদেহ ব্রীজ থেকে আনুমানিক ১০০ গজ দূরে হারামতি নদীর মধ্যে মোটরসাইকেলটিসহ ফেলে দেয়। সেসময় আসামীরা হত্যাকাণ্ডের শিকার প্রভাষক বাবুর কাছে থাকা শুধু টাকা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনায় নিহত বাবুর ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা অত্র মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আসাদুল নামের একজনকে দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানা হতে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে হত্যাকাণ্ডের সহিত তার ও গ্রেপ্তার সোহেলের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
র্যাব কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, পাঁচবিবির সেই আলোচিত মামলার বিচারকাজ শেষে বিজ্ঞ আদালত চলতি মাসের ৩ তারিখে আসামী সোহেলকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। সাজা থেকে বাঁচতেই সে বগুড়া এসে পালিয়ে ছিলেন কিন্তু তাকে তারা অল্প সময়ের মাঝে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন।