নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুষ্টিয়ার কোর্টে প্রক্রিয়াধীন মামলা ও থানার আপস নামার তোয়াক্কা না করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক দম্পতিকে হুমকি-ধামকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) প্রতিবেদকের কাছে এমনই অভিযোগ করে এই দম্পতি। এছাড়া বিভিন্ন সময় আক্রমণে চেষ্টা করা হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে থানায় জিডিও করা হয়। বিষয়টি নিয়ে নতুন করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্যও ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, গত সোমবার (০৮ জুলাই) রাতে একটি ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে কুষ্টিয়ার হাইজিং এস্টেট বি-৬,ডি-৯ ব্লকের ড্রীম হোম টাওয়ার বিল্ডিং এর ফ্ল্যাট নিয়ে যে নিউজ প্রকাশ করা হয়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক দম্পতির দাবি নিউজটি একপক্ষীয় এবং ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাকসুদা আক্তার বলেন, ‘মোঃ সোহাগ ইসলামের সম্মতিতে এবং সাক্ষীগণের উপস্থিতিতে ফ্ল্যাটটি গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ সর্বোচ্চ মূল্য পয়ষট্টি লক্ষ টাকার বিনিময়ে ক্রয়ের চুক্তিবদ্ধ হয়ে কুষ্টিয়া সদর সাব-রেজিষ্ট্রি গিয়ে ঐ দিনই বায়না হিসাবে আট লক্ষ টাকা প্রদান করা হয় । যেহেতু হাউজিং এস্টেট এর জমাজমি রেজিস্ট্রেশনের জন্য বিক্রেতা কতৃক সেল পারমিশন আনা পূর্ব শর্ত। তাই সেল পারমিশন না থাকায় বায়নাটি রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব হয় নি। তখন কথা হয় সোহাগ ইসলাম সেল পারমিশন আনবেন এবং পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে সম্পত্তির বাকী সাতান্ন লক্ষ টাকা প্রদান করে জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়া হবে এবং তিনি টাকা বুঝে পেয়ে জমি রেজিস্টি করে দিবেন মর্মে সম্মত হয়ে তার ব্যবহার অনুপযোগী অসম্পূর্ণ ফ্ল্যাটটি নিজ খরচে নিজের মত বসবাস উপযোগীভাবে প্রস্তুত করে বসবাস করার জন্য দখল হস্তান্তর করেন।’
তদানুযায়ী পনের লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ফ্ল্যাটটির বাকি কাজ সম্পূর্ণ করে নিজের ফ্ল্যাট হিসেবে সেখানে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বসবাস করা হচ্ছে এবং বাকি টাকা পরিশোধ করে ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রি করে নেয়ার জন্য সেল পারমিশনের জন্য অপেক্ষারত। এখন মোঃ সোহাগ ইসলাম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেল পারমিশনের ব্যবস্থা না করে হটাৎ করে সম্পূর্ণ অন্যায় ও জবরদস্তিমূলকভাষে ফ্ল্যাটটি ছাড়ার জন্য নানারকম হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন হীনপন্থায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রতারণামূলকভাবে হেনস্তা করতে গত ১৩ মে রাত্রিবেলায় সদলবলে উক্ত বাসায় আক্রমণ চালান।
তিনি বলেন, ঘটনার পরপর এই ব্যাপারে কুষ্টিয়া সদর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৫ মে ২০২৪ ইং তারিখে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে কুষ্টিয়া সদর থানায় একটি আপস মীমাংসা হয়। উক্ত “আপস নামা” এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে উক্ত ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রি নেয়ার জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়ে সেল পারমিশন এর জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু সোহাগ ইসলাম সদর মডেল থানার অফিসার ইন চার্জসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত “আপস নামা”- অনুযায়ি সেল পারমিশনের আবেদন না করে বিভিন্ন পন্থায়, নানা প্রকার হুমকি প্রদান ও আক্রমণের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। এ ব্যাপারে গত ০৪ জুন ২০২৪ ইং তারিখ থানায় একটি জিডি করা হয় এবং বিষয়টি বর্তমানে কোর্টের মামলা প্রক্রিয়াধীন। কাজেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার স্বামীর নাম এখানে উল্লেখ করে আমাদের ইমেজ নষ্ট ও সম্মানহানির জন্য সোহাগ ইসলাম কতৃক প্রদত্ব ভুল তথ্যের ভিত্তিতে বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে । আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’