// মোঃ মোমিন খান,আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কয়াকুঞ্চি-চকবাড়িয়া প্রায় ৬ কিলোমিটার গ্রামীণ কাঁচা সড়কটি স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও পাকাকরণ করা হয়নি। বর্তমানে এই কাঁচা সড়কে যাতায়াতকারি দশ গ্রামের স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থি, জনসাধারন ও যানবাহন চলাচলে বেহাল দশায় পরিনত হয়ে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। এ সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি অফিসার রুমানা আফরোজ ও উপজেলা প্রকৌশলী রিপন কুমার সাহা বেহাল দর্শায় পরিণত সড়কটি সরজমিনে পরিদর্শন করেন। গত রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে সড়কটি পরিদর্মন করেন। এসময় চাঁপাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম উপস্থিত ছিলেন।
আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কয়াকুঞ্চি গ্রাম হতে দক্ষিণ গোবিন্দপুর হয়ে চকবাড়িয়া গ্রামের মোড় পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কটি স্বাধীনতার পর এলাকাবাসি স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে মাটি কেটে নির্মাণ করে জনসাধারণের চলাচলের ব্যবস্থা করেন। চকবাড়িয়া, দক্ষিণ গোবিন্দপুর, দুধিয়া, তালিমপুর, উপড় তালিমপুর, নিচ তালিমপুর, দীঘিরপাড়, ঘাটাগন, শিয়ালাসহ প্রায় দশ গ্রামের লোকজন ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের জেলা, উপজেলা সদর, ও ইউনিয়ন পরিষদসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই কাঁচা সড়কটি। বর্ষা মৌসুমে সড়কে কাদামাটি ও খরা মৌসুমে ধূলোবালিতে সয়লাব হয়ে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ৫৩ বছর যাবত। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রশাসন সড়কটি সরজমিনে দেখতে যান। আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশলী রিপন কুমার সাহা জানান, কাঁচা সড়কটি সরজমিনে পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহি অফিসার রুমানা আফরোজ পাকাকরণের জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। এছাড়া ইতিমধ্যে চকবাড়িয়া অভিমুখী দক্ষিন গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চয়ণের মোর থেকে ৬০০ মিটার ও কয়াকুঞ্চি থেকে ২০০ মিটার সড়কে ইটবিছানোর কাজের টেন্ডার হয়েছে। অল্পদিনে মধ্যেই কাজ শুরু হবে। অবশিষ্ট কাজ টেন্ডারের জন্য কাগজপত্র তৈরী করা হয়েছে।