// সঞ্জু রায়, বগুড়া:
ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবনের সাজা মাথায় নিয়ে ১৭ বছর ধরে বিভিন্ন জেলায় পলাতক ছিলেন বগুড়া ধনুটের খাদুলী এলাকার বাদশা, বছরের পর বছর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে থাকলেও অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার সকালে ঢাকার গাজীপুরের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাবের আভিযানিক দল। রাতে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পে আয়োজিত এক প্রেস প্রেস ব্রিফিংয়ে বাদশার গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেন কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন। র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ২০০৭ সালে গাজীপুরে একটি গার্মেন্টসে চাকরিরত অবস্থায় গ্রেপ্তার বাদশার নিজ এলাকা ধুনটে এক নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভনে চান্দাইকোনায় একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে সেই নারীকে মারপিট ও ধর্ষণ করে বাদশা। এ ঘটনায় ২০০৭ সালের দোশরা মার্চ বগুড়া শেরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাদশার বিরুদ্ধে মামলা হলে সর্বশেষ ২০১৯ সালের নভেম্বরে তার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সাজার রায় দেন আদালত। যদিও ২০০৭ সাল থেকেই পলাতক ছিলেন ধূর্ত বাদশা। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্রায় ১৭ বছর দেশের বিভিন্ন জেলায় ছদ্মবেশে আত্মগোপন করেছিলেন এই বাদশা। অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় এবং র্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাদশা কে ঢাকার গাজীপুর কোনাবাড়ির একটি গার্মেন্টস থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং অবসান ঘটানো হয় তার আত্মগোপনের। সোমবার রাতেই গ্রেপ্তার বাদশা কে শেরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।