// লালপুর ( নাটোর) প্রতিনিধিঃ
নাটোরের লালপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে ৬টি ঘর পুড়ে গেছে।
সোমবার (২৪ জুন ২০২৪) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের রসুলপুর পদ্মার চরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন ঠান্ডার আলী, হাজেরা, আমেনা, ফাতেমা, আনজু ও হ্যাপি।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গায় শাহাবুলের মুরগি পালনের জন্য ঘর তোলার সময় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে যায় ঘরে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন আশ্রয়ণ প্রকল্পের অন্যান্য ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয় লোকজন মুঠোফোনে লালপুর ফায়ার সার্ভিসকে জানালে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাসিন্দা থান্ডার আলী জানান, আগুণে পুড়ে আমার সব শেষে হয়ে গেছে, আমার আর কিছু নেই। আমার টাকা, ধান, চাল, কাপড় চোপড়সহ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘরে গরু বিক্রির সাড়ে তিন লাখ টাকার মধ্যে মেয়েকে চিকিৎসার জন্য ৬৫ হাজার টাকা দিয়েছি, বাকি টাকা এই ঘরে ছিল। আমার সব শেষ হয়ে গেছে আমি নি:স্ব হয়ে গেছি।
ক্ষতিগ্রস্ত হাজেরা বেগম জানান, আমি বিলমাড়িয়া ছিলাম খবর পেয়ে এসে দেখি আমার সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে আমি নি:স্ব হয়ে গেছি। আমি থাকলে আমার এতো বড় ক্ষতি হতো না। আমার আর কিছুই নাই আল্লাহ, এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অন্যান্য অধিবাসীরা আগুণে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে শান্তনা দিচ্ছিলেন। রসুলপুর চরের আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধিবাসীদের দাবি আগুনে পুড়ে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
লালপুর ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার আব্দুল সালাম জানান, মুঠোফোনে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাতের প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক বলা সম্ভব নয় তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিদ্দিক আলী মিষ্টু ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি আগুনে পুড়ে ৬টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।