// ইয়ানূর রহমান : যশোরের শার্শায় পুর্ব শত্রুতার জেরে মুসা (৩০) নামে এক যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে একই এলাকার কুখ্যাত অস্ত্র ও মাদক ব্যবসািয়রা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের ভাইপো রাসেল (২০) নামে আরেক যুবক।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে গুরুতর আহত মুসার অবস্থার অবনতি হলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ৮ টার দিকে উপজেলার হরিণাপোতা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে রাতেই শার্শা থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। নিহত মুসা হরিণাপোতা গ্রামের আতাউল হকের ছেলে ও তার ভাইপো আহত রাসেল ইসহাকের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গরু বেচাকেনা নিয়ে মুসার সাথে ৬/৭ মাসে আগে মান্দারতলা এলাকার অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ি সিন্ডিকেটের রফিকুল, মিলন ও সুমনের সাথে দ্বন্দ ছিলো। ঘটনার দিন বিকেল ৫ টার দিকে মুসা ও তার ভাইপো রাসেল চা খাওয়ার জন্য হরিণাপোতা হাটখোলা মোড়ে যায়।
এ সময় রফিকুল, মিলন ও সুমনসহ একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুসাকে উপর্যুপরি কোপাতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এ সময় বাধা দিতে এগিয়ে এলে ভাইপো রাসেল গুলিবিদ্ধ হন।
পরে স্থানীয়রা দু’জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক ভাইপো রাসেলকে ভর্তি রাখে এবং মুসার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এখানেও তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন চিকিৎসাকরা। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বেলা ১১টায় তার মৃত্যু হয়।
নাভারন সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, গরু বেচাকেনা নিয়ে পুর্ব শত্রুতার জেরে আহত চাচা ও ভাইপোর মধ্যে মুসা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ভাইপো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে
চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় শার্শা থানায় মামলা হয়েছে এবং এ হত্যাকান্ডে জড়িত আসামিদের আটক করার জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলে তিনি জানান।#