// স্টাফ রিপোর্টার:
বগুড়া শহরে চেলোপাড়া এলাকায় রেল লাইন সংলগ্ন বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন এবং তার ৮ সন্তানের ১০টি ঘরসহ ১৪টি বসত-বাড়ি পুড়ে গেছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত না হলেও আগুনে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্রসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল ভস্মিভূত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ১৪টি পরিবারের প্রত্যেককে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিকেল ৪টায় তাৎক্ষণিকভাবে চাল, ডাল, চিনি এবং তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। এসবের পাশাপাশি তাদেরকে ৫টি করে কম্বলও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অধিক ক্ষতিগ্রস্থ ৯টি পরিরবারের প্রত্যেককে ২ বান ঢেউটিন ও নগদ ৬ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে বগুড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র পরিমল চন্দ্র দাস জানান, দুপুর ১২টার দিকে বাজারের উত্তর দিকে বস্তিতে কালো ধোঁয়া দেখা যায়। এর পর পরই দাউ দাউ আগুনে সবকিছু পুড়তে থাকে। তবে এলাকাবাসী ও দ্রুততম সময়ে ফায়ার সার্ভিসের পদক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে আগুন। না হলে আরো শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে যেতে পারতো। তবে কি কারণে আগুন লেগেছে তা প্রাথমিকভাবে জানতে পারেননি তিনি। এছাড়াও তাৎক্ষণিকভাবে তিনি প্রত্যেক পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক খন্দকার আব্দুল জলিল জানান, তারা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অগ্নিকান্ডের খবর পান। এরপর সেখানে পানিবাহী চারটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। যথাসময়ে খবর পাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
এদিকে বিকেলে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদানকালে বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিনকে বসবাসের জন্য অনেক আগেই জেলার সারিয়াকান্দি উপাজেলায় ‘বীর নিবাস’ নামে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি সেখানে না থেকে শহরের ওই বস্তিতে বসবাস করেন। তিনি তাকে আবারো তার বীর নিবাসে বসবাসের অনুরোধ জানান। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি-ঘর নেই এমন ৫জনকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। তিনি বলেন সাধারণ মানুষের এমন বিপদে বগুড়া জেলা প্রশাসন সর্বদাই দ্রুত এগিয়ে আসার চেষ্টা করেন। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী ছাড়াও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে এবং তাদের পরবর্তী অবস্থাও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা হবে। সহায়তা প্রদানকালে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বগুড়ার উপ-পরিচালক মাসুমা আলী বেগ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাউল করিম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভিন, সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, বগুড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র পরিমল চন্দ্র দাস, ব্যবসায়ী নেতা পরিমল প্রসাদ রাজসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।