// সঞ্জু রায়, বগুড়া:
বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর পৃথক দুই হত্যাকাণ্ডের আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের আভিযানিক দল। সোমবার দুপুরে র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানী কামান্ডার (এসপি) মীর মনির হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
র্যাবের এই কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলনে জানান, জেলার ধুনট উপজেলার মুরগী ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানীকে পাওনা টাকার দ্বন্দ্বে গত ৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার লাংলু গ্রামে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর নিহতের বাবা ছয়ফল প্রামানিক বাদী হয়ে ধুনট থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মোঃ রিয়াদ (২৩) পলাতক ছিলেন। তিনি লাংলু গ্রামের মোত্তেজার রহমানের ছেলে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নরসিংদী শহর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিয়াদ হত্যাকাণ্ডে নিজের সর্ম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন। মুরগির ব্যবাসার পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় তিনিসহ আরও কয়েককজন পাওনাদার পরিকল্পিভাবে রব্বানীকে হত্যা করে। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আরেকটি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে র্যাব ১২ কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন আরও জানান, গত ২ মার্চ বগুড়া শহরের চকফরিদ এলাকায় কলেজ ছাত্র ও ইন্টারনেট ব্যবাসায়ী আজহারুল ইসলাম শান্তকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের মা রাবেয়া খাতুন সদর থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া মালতিনগর এলাকার শহিদুল মুন্সির ছেলে মোঃ রাব্বি (২২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাতে ফরিদপুর জেলার চর কমলাপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাব্বি জানিয়েছে এলাকার আধিপত্য ও পূর্বের কয়েকদফা মারামারির জেরে শান্তকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ৬ জন সরাসরি অংশ নেয়। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানায় বগুড়া র্যাবের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
কোম্পানি কমান্ডার মনির আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের সংশ্লিষ্ট মামলায় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাবের এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।